
দার্জিলিং: বিপর্যয়ের পর পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার মিরিকে না গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত সুখিয়াপোখরিতে ত্রাণ তুলে দেবেন তিনি। বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারের এক জনকে হোমগার্ডে চাকরির নিয়োগপত্র দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্টে মমতাকে জিটিএ দেবে। সূত্রের খবর, ৯৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবেন জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা।
ভোটের আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বৈঠক করেন কিনা, সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। পাহাড়ের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কালিম্পঙ অনীত থাপার দলের দখলে, বাকি দুটি আসন বিজেপির হাতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বলছেন, অতীতের প্রেক্ষাপট দেখলেই বোঝা যায়, মুখ্যমন্ত্রী যখনই পাহাড়ে আসেন, তখন একাধিক রাজনৈতিক বৈঠক করেন। পরবর্তীতে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ মাঝেমধ্যেই বদলে যায়। এখন দুয়ারে ভোট। রাজ্যে ইতিমধ্যেই SIR প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, SIR মিটলে তিন মাসের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। পাহাড় এমনিতেই গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি। এই বিপর্যয়ের মধ্যে পাহাড়বাসীর পাশে থেকে, কাছে থেকে মনবল বৃদ্ধির মাধ্য়মে কিছুটা হলেও পথ মসৃণ করছেন নেত্রী, অন্তত তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কালিম্পঙ অনীত থাপারা পেয়ে গেলেও, দার্জিলিং, কার্শিয়াং এখনও হাতছাড়া। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের নজর রয়েছে, আদৌ এদিন নেত্রী কোনও রাজনৈতিক বৈঠক করবেন কিনা। আগামিকাল, বুধবারও তিনি পাহাড়ে থাকবেন। এরপর বৃহস্পতিবার পাহাড় থেকে আরও একটি রিভিউ মিটিং করে ফিরে আসবেন।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের পর ত্রাণ তহবিল গড়ছে রাজ্য সরকার। যে কোনও ব্যক্তি নিজের সামর্থ্য মতো অর্থ সাহায্য করতে পারেন। তবে সূত্রের খবর, কেবল উত্তরবঙ্গের কথা মাথায় রেখেই এই তহবিল নয়। তহবিলের জমা টাকায় রাজ্যের যে কোনও বিপর্যয় মোকাবিলা হবে। শীঘ্রই তহবিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, অন্য তথ্য দিয়ে দেওয়া হবে।