শিলিগুড়ি: তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ব্যাপক মারধর (Mon Lynching) করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে, শিলিগুড়ির অম্বিকানগরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অম্বিকানগরের বাসিন্দা রমেশ বর্মণ নামে এক ব্যক্তি সোমবার বিকেলে প্রতিবেশী এক শিশুকন্যাকে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। সন্ধ্যে হয়ে গেলেও মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে রাস্তায় বেরোন মা। অভিযোগ, সেই সময় অভিযুক্ত রমেশের ঘর থেকে মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। সেখানে গিয়ে বাথরুমের ভেতর থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন বলে অভিযোগ। মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করতে ওই শিশু কন্যা জানায়, তাকে বাথরুমে আটকে রেখে ‘অশালীন আচরণ’ করেন অভিযুক্ত। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত রমেশকে বাড়ি থেকেই টেনে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয়রা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযুক্তকে মারতে মারতে বলেন, “তোর লজ্জা করে না, ওইটুকু বাচ্চার গায়ে হাত দিতে!” অন্য এক এলাকাবাসীর কথায়, “মদ খেয়ে নেশা করে মেয়েটাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রমেশ। ঘরের মধ্যে বাথরুমে আটকে রেখে মেয়েটাকে রেপ (rape) করেছে। বাচ্চাটার মা খুঁজতে না এলে আমরা জানতেও পারতাম না।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযুক্তকে ক্ষিপ্ত জনগণের হাত থেকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রামবাসীদের কাছে নিজের হাতে আইন না তুলে নেওয়ার আবেদন করেন পুলিশ কর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত রমেশ জেরায় দোষ স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আরও পড়ুন: ‘মুখে হাত চাপা দিয়ে মেয়েকে দেওয়ালে ঠেসে ধরেছিলেন’, মায়ের অভিযোগে গ্রেফতার ‘ইংরেজি স্যর’!