
একের পর এক নিম্নচাপকে সঙ্গী করে প্রতিদিন এগিয়ে চলছে বাংলার মানুষ। বাংলার উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত ছবিটা সেই একই। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে যে বন্যা দেখা দিয়েছিল,তার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি এখনও মানুষজন। এবার যেন প্রকৃতির নজর উত্তরবঙ্গে। রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে ফের জলস্ফীতি। এবার তিস্তার উভয় পারে জারি হল লাল সংকেত। তিস্তার জল ইতিমধ্যে রাস্তার উপর উঠতে শুরু করেছে। বন্যা দুর্গত বহু মানুষ।

তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ৪ হাজার ৫০১ কিউমেক জল। যার ফলে এবার তিস্তার অসংরক্ষিত এবং সংরক্ষিত উভয় এলাকায় জারি হল লাল সংকেত। পাশাপাশি ভূটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে জলঢাকা নদীতেও জলস্ফীতি হয়েছে। আর এর জেরে জলঢাকা নদীর উভয় পারে জারি করা হয়েছে হলুদ সংকেত সেচ দপ্তর সুত্রে জানা গেছে।

এদিকে, পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির জেরে ডুয়ার্স থেকে লাভা এবং গরুবাথান যাওয়ার রাস্তায় ধস নেমেছে। সঙ্গে পাহাড় তেকে কাদাজলের স্রোত নেমে এসে যান চলাবন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এদিকে, প্রবল বৃষ্টির জেরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বালাপ্রসন ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে যানচলাচল। এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক আনন্দ বর্মণ

কালিম্পং (Kalimpong) পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে ধস নেমে বিপর্যস্ত হল ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়ল গার্ডওয়াল। এ ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। রাস্তায় গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। কালিম্পং পুরসভা এলাকায় ৪, ১৫, ১৮ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকা। ব্লক, পুরসভা ও জেলাস্তরের বিপর্যয় মোকাবিলা টিম কাজ করছে ওইসব এলাকায়।