শিলিগুড়ি: ‘দলে আর না, আর না’ শহরজুড়ে বিজেপি নেতা নান্টু পালের (Nantu Paul) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার।
পৌরভোটের মুখে দলবদলু শিলিগুড়ির বিজেপি নেতা নান্টু পালের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল। মঙ্গলবার সকালে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নান্টু পালকে আর তৃণমূলে নেওয়া যাবে না, এমনই লেখা পোস্টার পড়েছে। এই দাবি তুলে দার্জিলিং তৃণমূলের কংগ্রেসের নামে এই পোস্টার পড়ে হাশমি চক, গুরু নানক চক, মহাত্মা গান্ধি চক-সহ শহর শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায়।
বলাই বাহুল্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন নান্টু পাল। এরপর বিজেপি বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যেত নান্টু পাল ও স্ত্রী মঞ্জুশ্রী পালকে। গুঞ্জন রয়েছে, পৌরভোটের আগে ফের তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন সস্ত্রীক নান্টু পাল। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ স্থানীয় নিচুতলার তৃণমূল কর্মীরা।
তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, ভোটের মুখে যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফের দলে নেওয়া যাবে না। তাতে দলের নীচু তলার কর্মীরা, যাঁরা সব সময় দলের হয়ে কাজ করে গিয়েছে, তাঁদের মনোবলে আঘাত লাগবে। এ নিয়ে অবশ্য নান্টু পালের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, বিধানসভার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের আগে বিজেপিতে যোগ দেন শিলিগুড়ির দলত্যাগী তৃণমূল নেতা নান্টু পাল। সঙ্গে যোগ দেন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ। তাঁদের হাতে পদ্মশিবিরের দলীয় পতাকা তুলে দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
একুশের নির্বাচনের আগে পালাবদলের সময়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন নান্টু পাল।
তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর বিদ্রোহী হন নান্টু। শিলিগুড়ি কেন্দ্রে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে দল প্রার্থী করায় ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
নান্টু পালের বক্তব্য ছিল, বহিরাগত প্রার্থী তিনি মানবেন না। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে দলত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, নির্দল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়ার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সেসময় বাম রাজনীতি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শঙ্কর ঘোষও। শিলিগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষের হয়ে প্রচার করেন তিনি।
তবে এ দিনের পোস্টার সম্পর্কে নান্টু পালের প্রতিক্রিয়া, “বিজেপিতেই আছি। দলের কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছি। যাঁরা পোস্টার দিয়েছেন, তাঁরাই বলুন কেন এই পোস্টার? দিন কয়েক আগে জেলা তৃণমূলের নেতারাই বলেছেন তৃণমূলে ফিরলে আমায় স্বাগত জানাবেন।”
দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্য কমিটি কাউকে দলে নিলে জেলা নেতৃত্বের আপত্তি থাকবে না, এটুকু বলতে পারি। তবে পোস্টার কারা দিলেন, তা জানা নেই। নান্টু পালকে নিয়ে জেলা স্তরে কোনও সিদ্ধান্ত বা আলোচনাও হয়নি।”
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “নান্টুদা বিজেপিতে থাকছেন নাকি তৃণমূলে যাচ্ছেন তা তিনি নিজেই সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন আর এই বিরোধিতা কারা করছেন, সেটাও নান্টু পাল ভালো করে বলতে পারবেন। এর বেশি আমাদের কিছু জানা নেই।”