Sacked Teacher: ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকা থেকে ববিতার নাম কাটতে উদ্যোগী কমিশন, মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি ববিতার
Sacked Teacher: মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম আদালতে প্রথম ওঠে ২০২২ সালের ১৭ মে। অভিযোগ ওঠে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদে তাঁর নিয়োগ বেআইনি। এর পরেই অঙ্কিতা এবং তাঁর পিতা পরেশকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

শিলিগুড়ি: যোগ্য শিক্ষকের তালিকায় চলে এসেছিল ববিতা সরকারের নাম। খবর প্রকাশ হতেই নাম কাটতে উদ্যোগী হল কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই জেলায় জেলায় যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে জেলায় পাঠায় কমিশন। তাতেই দেখা যায় ৮৯ নম্বরে নাম আছে ববিতার। যদিও এ ব্যাপারে ববিতার বক্তব্য, “আমি আবারও পরীক্ষা দেব, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কমিশন কি মজা করছে? আমার মনে হয়, কমিশনকে এই দায়িত্বে রাখা উচিত। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব। যদি এটা ছেলেখেলা হয়, তাহলে আমি মানহানির মামলা করব।”
যদিও আদালতের নির্দেশে এর আগে চাকরি পেলেও আবেদনপত্রে কিছু ‘টেকনিক্যাল এররের’ কারণে আদালতের নির্দেশেই চাকরি চলে যায় ববিতার। চাকরিটা পান শিলিগুড়ির অন্য এক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা।
কিন্তু চলতি সপ্তাহে জেলায় স্কুল শিক্ষা দফতরে যে লিস্ট এসেছে, তাতে ববিতার নাম থাকায় ফের বিতর্ক শুরু হয়। এরপরেই যোগ্য শিক্ষকের তালিকা থেকে ববিতার নাম কাটতে উদ্যোগি হয় কমিশন।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম আদালতে প্রথম ওঠে ২০২২ সালের ১৭ মে। অভিযোগ ওঠে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদে তাঁর নিয়োগ বেআইনি। এর পরেই অঙ্কিতা এবং তাঁর পিতা পরেশকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তাঁরা সিবিআই-এর মুখোমুখি হন। অঙ্কিতার এই নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন ববিতাই। সেই মামলায় জিতে অঙ্কিতার চাকরি এবং তাঁর বেতন বাবদ পাওয়া ১৪ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ববিতার সেই চাকরি স্থায়ী হয়নি।
ববিতার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন অনামিকা। ববিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের সত্যতা ধরা পড়ে আদালতে। তারপর সেই চাকরি পান অনামিকা।

