Siliguri Mahakuma Parishad CPIM: ‘লাল-গড়ে’ শূন্য বামেরা, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে শুধুই ঘাসফুল, আনাচে কানাচে পদ্মও
Siliguri: তবে এবার মহকুমা পরিষদে শোচনীয় পরাজয় বামেদের। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর আগে শহুরে নির্বাচনে মানুষ বামেদের ফিরিয়েছে।
শিলিগুড়ি: লাল-গড়ে এবার ঘাসফুল। শিলিগুড়িতে আর কিছুই রইল না বামেদের। গত পুর নির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে পুরনিগম। এবার মহকুমা পরিষদের ভোটেও ধরাশায়ী লালেরা। গত পাঁচ বছর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের দায়িত্ব ছিল বামেদের হাতে। এবার মানুষের ভোটে সেই দায়িত্ব বর্তাল তৃণমূলের কাঁধে। তৃণমূল জমানায় এই প্রথমবার। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তর নির্বাচনে গ্রামপঞ্চায়েত এবং গ্রাম সমিতি বা পঞ্চায়েত সমিতির স্তরে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় এল তৃণমূল। শিলিগুড়ি পুরনিগম নির্বাচনে যেভাবে বামেদের কুপোকাত করে বোর্ডের দখল তারা নিয়েছিল, ঠিক সেভাবেই পঞ্চায়েত স্তরের এই নির্বাচনেও বাম-বিজেপিকে পরাস্ত করে ক্ষমতা দখলে নিল রাজ্যের শাসকদল। ত্রিস্তরের মহকুমা পরিষদে ২২টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে ১৯টি গ্রামপঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে তৃণমূল। বাকি তিনটি যদিও ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। এগুলি হল জলস নিজামতারা গ্রামপঞ্চায়েত, পাথরঘাটা গ্রামপঞ্চায়েত ও চটহাট বনগাঁও গ্রামপঞ্চায়েত।
তবে এবার মহকুমা পরিষদে শোচনীয় পরাজয় বামেদের। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর আগে শহুরে নির্বাচনে মানুষ বামেদের ফিরিয়েছে। এবার গ্রামের ভোটেও মুছল তারা। এই ফলাফল আরও একবার উস্কে দিল প্রশ্ন, সত্যিই কি ভোটের রাজনীতির ময়দানে গুরুত্ব হারাচ্ছে ‘মেহনতি মানুষের দল’? ৪টি পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রেও চারটিই তৃণমূলের দখলে। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৬৬টি আসন। এরমধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৫৪টি, বিজেপি পেয়েছে ১০টি, নির্দলের দখলে ২টি। অর্থাৎ বাম শূন্য পঞ্চায়েত সমিতি।
মহকুমা পরিষদেও সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলই। মোট ৯টি আসন। এরমধ্যে ৮টি তৃণমূল পেয়েছে, ১টি পেয়েছে বিজেপি। এখানেও বামেদের হাত ফাঁকা। এই জয় মানুষকে উৎসর্গ করেছেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। অন্যদিকে জেলা বিজেপির সভাপতি আনন্দ বর্মন বলেন, “বহু আসনে আমরাই টক্কর দিলাম। দ্বিতীয় স্থানে আমরাই রয়েছি। ফলাফল খারাপ হয়নি।” তবে শোচনীয় ফল নিয়ে এখনও বামেদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।