শিলিগুড়ি: লটারির টিকিট তো অনেকেই কেনেন। কারোর-কারোর আবার নেশাও রয়েছে। অনেক সময় খবরে উঠে আসে লটারি কেটে কোটি-কোটি টাকা জিতেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি। লটারির নাম শুনলে অন্তত পুরস্কার হিসেবে বিশাল অঙ্কের টাকার কথাই মাথায় আসে। তবে নাহ! শিলিগুড়ির একটি ক্লাবের পুরস্কার কিন্তু এমনটা নয়। একটু ব্যতিক্রম। আর তাদের এই পুরস্কারের ধরন দেখেই চোখ কপালে গ্রাহকদের।
শিলিগুড়ির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রমপাড়া এলাকায় লটারির আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু তার পুরস্কার হিসেবে কোনও নগদ অর্থ দেখা গেল না। তাহলে কী ছিল পুরস্কার? জানা গিয়েছে, লটারি জিতলেই মিলবে জোড়া খাসি। আর কেউ যদি লটারি জিততে নাও পারেন, তাঁরও দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। কারণ দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে রয়েছে একটি খাসি। এছাড়াও, তৃতীয়-চতুর্থ-পঞ্চম-সপ্তম পুরষ্কার হিসেবে রয়েছে বিলিতি মদ। আর পেটি-পেটি বিয়ার! এই পুরস্কার পেতেই এখন ভিড় করেছেন প্রত্যেকে।
ক্লাবটির নাম ‘সবাই ভালো, আমরা খারাপ’। মাত্র দশ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে লটারির টিকিট। উদ্যোক্তাদের দাবি, টিকিট নাকি ইতিমধ্যেই মুড়ি-মুড়কির মত বিক্রি হয়ে গিয়েছে। লটারির প্রধান আকর্ষনই হল বিলিতি পানীয়। আর সেই কারণে রীতিমত হটকেকের মত বিক্রি হচ্ছে এই টিকিট। উদ্যোক্তা সমীর রায়ের দাবি, ‘ইতিমধ্যে আমাদের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অবিক্রিত টিকিট আর একটাও নেই। দোলের আগে পরিকল্পনা মাফিক এই লটারির আয়োজন করেছি আমরা।’ সমীরবাবুর দাবি, এখন ডান-বাম নির্বিশেষে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরাই পাড়ার বাসিন্দা হিসেবে লটারির টিকিট কেটেছেন।
যদিও, এলাকাবাসীদের একাংশ মেনে নিতে পারেনি এই উদ্যোগকে। ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তাঁদের মধ্যে। প্রত্যেকের দাবি, এতদিন লটারির মাধ্যমে জিতলে খাওয়ার মিলত। কিন্তু এবার হোলির আগে এই লটারিতে জিতলে বিলিতি পানীয় দেওয়া হবে। জেলা তৃণমূলের মুখপত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘কে কোন দলের সদস্য বলতে পারব না। তবে দ্বিধাহীন ভাবে বলতে পারি এ আমাদের সামাজিক অবক্ষয়। এর নিন্দা করছি।’
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: শুভেন্দুর সঙ্গে ডাইনোসরের তুলনা টেনে কুণাল বললেন, এরপর…