শিলিগুড়ি: প্রথমবার। এবার পঞ্চায়েতেও প্রচারে স্বয়ং মমতা বন্দোপাধ্যায়। নজর উত্তরবঙ্গ। আগামী সোমবার কোচবিহারে ও মঙ্গলে মালবাজারে ভোট প্রচারে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুটা করেছিলেন দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, তৃণমূলের সেই নবজোয়ারে দলে কতটা ‘জোয়ার’, তা পরখ করে নিতে চাইছেন মমতা।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞরাই বলছেন, গত এক দশকে কখনও পঞ্চায়েতে ভোট প্রচার করতে দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাহলে এবার ব্যতিক্রম কেন? বিরোধীদের দাবি, এমনিতেই দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ রয়েছে শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ নেতৃত্বে জনমানসের সামনে দলের ভাবমূর্তিটাকে তুলে ধরতে চাইছে। নানা দূর্নীতি, আদালতের রায়, দলের নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রবল চাপে তৃণমূল নেতৃত্ব।
চব্বিশের লোকসভার আগে তাই বিজেপিকে কোণঠাসা করতে উত্তরে শক্তি বাড়াতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিশ্লেষকদের অভিমত, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যেভাবে নবজোয়ার শুরুর জন্য কোচবিহারকেই প্রথমে বেছে নেন, ঠিক তেমনি মমতাও উত্তর থেকেই প্রচার শুরু করতে মাঠে নামছেন।
শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, “ভয় পেয়েছেন মমতা। তাই তাঁকেও এবার প্রচারে নামতে হচ্ছে। ভোটে হিংসা করে, মনোনয়ন জমা দিতে না দিয়েও ভয় যাচ্ছে না।”
বিজেপি রাজ্য সম্পাদক শঙ্কর ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “চাপে রয়েছে তৃণমূল। তাই এবার উত্তরবঙ্গে ভোট প্রচারে মমতা। লাভ হবে না। পঞ্চায়েতে ও আগামী লোকসভায় বিজেপিই জিতবে।”
তবে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা মেয়র গৌতম দেবের দাবি, “দলনেত্রী আসছেন। প্রচারে জোয়ার এসেছে। ভয়ের প্রশ্নই নেই। বিপুল ভোটে দল জিতবে। বিজেপি, বাম-কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতাই নেই।”