দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মহেশতলা থানার অন্তর্গত একটি বহুতল আবাসনের চারতলার বন্ধ ঘর থেকে রক্তাক্ত গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার হল। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম নন্দিতা ভট্টাচার্য (৪৩)। ঘটনার জেরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মৃত বধুর স্বামী দেবায়ন কর্মকারকে। তদন্তে নেমেছে মহেশতলা থানার পুলিশ
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে মহেশতলার আকরার বাসিন্দা নন্দিতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে খিদিরপুরের বাসিন্দা পেশায় ট্যাক্সিচালক ৪২ বছরের দেবায়ন কর্মকারের বিয়ে হয়। ট্যাক্সিতে যাতায়াতের সূত্রেই দেবায়নের সঙ্গে আলাপ হয় নন্দীতার। সেই থেকেই প্রেম। যদিও এই দুই জনই পূর্বে বিবাহিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নন্দিতা ভট্টাচার্যের প্রথম স্বামী দিল্লিতে থাকেন। কিন্তু, স্ত্রী-র সঙ্গে কোনও প্রকার যোগাযোগ রাখেননি তিনি। অপরদিকে দেবায়ন কর্মকারের প্রথম পক্ষের স্ত্রী-র সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০১২ সালে। সেই পক্ষের দু’বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
শুক্রবার মহেশতলার ওই আবাসনের চারতলার ডি-৪০৭ নম্বর রুম থেকে নন্দিতার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে মহেশতলা থানার পুলিশ। এর পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় নন্দিতার স্বামী দেবায়ন কর্মকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন। যার জেরে সন্দেহ গভীর হয় পুলিশের। অপরদিকে, নন্দিতার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত মহেশতলা থানায় জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ল কমিশন ও রাজভবনে, কী লেখা সেখানে?
দেবায়নের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ দুপুর ১২ টা নাগাদ তিনি খিদিরপুরের বাড়ি থেকে মহেশতলার এই আবাসনে আসেন। কিন্তু, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা ছিল। তাই তিনি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে না জানিয়েই তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি তাঁর স্ত্রী-কে দেখতে পান। কিন্তু সেই সময় পুলিশে না জানিয়ে দেবায়নের মনে হয়, মিস্ত্রি ডেকে এই তালাটি সারিয়ে নেওয়াটা বেশি জরুরি। এরপর তিনি ঘাবড়ে গিয়ে কাউকেই কিছু না জানিয়ে ঘরে আবার নতুন চাবি আবার লাগিয়ে খিদিরপুরের বাড়িতে চলে আসেন। এর পরই পুলিশ উদ্ধার করে ওই মৃতদেহ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কথার সঙ্গতি না থাকায় আটক করা হয় দেবায়নকে।
আরও পড়ুন: যোগ্য প্রার্থীই নেই, ৩০ আসনের দাবি থেকে সরছেন আব্বাস