কাঁথি: রাজ্যজুড়ে চলছে শাসকদল তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’। ‘দিদির দূত’-রা যাচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামে। ক্ষোভ-বিক্ষোভও হচ্ছে দেদার। এরই মাঝে মকর সংক্রান্তির দিন কাঁথির ২২ গজ-ই জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিলেন রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর বিরুদ্ধে বল হাতে দেখা যায় পুত্র সুপ্রকাশ গিরিকেও। আর ব্যাট হাতে নিয়েই বাউন্ডারি হাঁকালেন রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী। তবে শুধু ক্রিকেট মাঠে নয়, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বাউন্ডারি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কারামন্ত্রী। অখিল গিরির সঙ্গে এদিন মাঠ কাঁপালেন কামারহাটির বিধায়ক তথা ‘কালারফুল’ মদন মিত্রও।
এদিন কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আয়োজিত ‘দিদি কাপ’-এর আয়োজন করে স্থানীয় একটি ক্লাব। সেই খেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের কারামন্ত্রীকে দেখা গেল ব্যাট হাতে এবং বল হাতে পরাস্ত করতে হাজির হন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী-পুত্র সুপ্রকাশ গিরি। যদিও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার দিক থেকে তিনি যে প্রবীণ, তা এই বাইশ গজে ব্যাট হাতে প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার প্রথম সৈনিক। বুঝিয়ে দেন, এখনও ভেলকি দেখানোর অনেক বাকি! আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এরকমই ভেলকি দেখা যাবে বলেও ইঙ্গিত দেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আজ প্রথম পুণ্যদিনেই যখন বাউন্ডারি হয়েছে, তখন পঞ্চায়েতেও বাউন্ডারি হয়ে যাবে।”
এদিনের কাঁথির ‘দিদি কাপ’ দিন-রাতের টুর্নামেন্ট। মোট ১২টি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। এই টুর্নামেন্টের শুরুতে যেমন পুত্রের বিপরীতে কারামন্ত্রীর মারকাটারি ব্যাটিং নজরকাড়া ছিল, তেমনই একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই টুর্নামেন্টে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী থেকে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র,দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ,চণ্ডীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্যও উপস্থিত ছিলেন।