
কাঁথি: দিঘায় মমতা-সাক্ষাতে দলের মধ্যেই ক্ষোভের মুখে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দলের একাধিক নেতা। এবার কোলাঘাটে দলীয় কর্মীদেরই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দিলীপ। কোলাঘাটে ভেস্তে যায় দিলীপের চা চক্র। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেন তাঁরা। চা না খেয়েই সেখান থেকে ফিরতে হয় দিলীপ ঘোষকে। এক কর্মী বলেন, “২০১৪ সাল থেকে দল করি। জেলা সভাপতি নেই, কেউ নেই, উনি কেন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাবেন? দল বহির্ভূত কাজ করেছেন তিনি। দলকে মানায় না।”
এদিকে আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি ধরা পড়ে দিঘাতে। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে দিলীপ ঘোষ স্বাগতম।”
এসবের মাঝেই আবার একই ইস্যুতে মেদিনীপুরের জেলা বিজেপি কার্যালয়ে ধুন্ধুমার। দিলীপপন্থীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। দিলীপ ঘনিষ্ঠ জেলা সভাপতি শমিত মণ্ডল বেলা তিনটে নাগাদ জেলা পার্টি অফিসে ঢুকতে গেলে গন্ডগোলের সূত্রপাত। স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীরা প্রথমেই ঢুকতে বাধা দেন। এরপর জেলা সভাপতি-সহ তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় জেলা সভাপতির গাড়িতেও।
যদিও এই সমস্ত ঘটনা প্রবাহ বিক্ষোভ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “কিছু লোক এসেছে, যাঁরা পার্টিকে কবজা করতে এসেছে। নতুন বিজেপি হয়েছে। তারা একটু ঝামেলা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এটা হবে না বেশিদিন। আমরা রক্ত দিয়ে, ঘাম দিয়ে পার্টি দাঁড় করিয়েছে। লক্ষ লক্ষ কর্মী বসে আছে, তারাই বসিয়ে রেখেছে। তারা কিন্তু বিজেপি ছাড়েনি, তারাই বিজেপিকে জেতাবে। হঠাৎ বিজেপি যারা, তারা হঠাৎ এসেছে, হঠাৎ যাবে। বিজেপির কিছু যায় আসে না। কতদিন ওরা বিজেপি করে খতিয়ে দেখুন।”
সমস্যার সূত্রপাত, দিলীপ ঘোষ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে সস্ত্রীক গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি যাওয়াতেই দলের অন্দরে ক্ষোভের মুখে দিলীপ।