নদিয়া: “প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলেন অথচ নিজে বাংলাদেশের স্লোগান চুরি করছেন।” নেতাজি জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দেওয়াকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গত ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলায় ভাষণ না দিয়ে শুধু ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় বাংলা’ বলে পোডিয়াম ছেড়েছিলেন ক্ষুব্ধ মুখ্য়মন্ত্রী। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার নদিয়ার চাকদহে দলীয় সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নাম না করে বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘জয় বাংলা’ তো বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান। দিলীপবাবুর কথায়, “তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলেন অথচ নিজে বাংলাদেশের স্লোগান চুরি করছেন, অভিনেতা চুরি করছেন।” তিনি আরও বলেন, ”ভূতে নাকি রাম নাম সহ্য করতে পারে না। এদের অবস্থা হয়েছে ভূতের মতো।”
‘জয় শ্রীরাম’ বনাম ‘জয় বাংলা’, এই দুই ধ্বনিকে নিয়ে একে অন্যকে নিশানা করছে তৃণমূল ও বিজেপি। সেই লড়াইকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও টেনে নিয়ে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি মমতাকে একহাত নিয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌসের উপস্থিতি এবং বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কলকাতার দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে আসা নিয়ে কটাক্ষ করেন। ফেসবুকে মমতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের সমালোচনা করে দিলীপের কটাক্ষ, “গ্রেটার বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে লড়াই করছেন মমতা। সেই কারণেই তাঁর মুখে ‘ইসলামিক বাংলাদেশ’ স্লোগান শোনা যাচ্ছে।” স্বাভাবিকভাবে এর তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ঘুচবে দূরত্ব, উত্তরবঙ্গ দিয়ে রেলপথে জুড়ছে ভারত-বাংলাদেশ
তবে একই সুরেই এবার জনসভা থেকেও নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে আবারও আক্রমণে করে দিলীপ বলেন, ”এতদিন যে সব পুলিশ ঘুষ নিয়েছেন, কাটমানি খেয়েছেন, তাঁরা ভোট কেন্দ্র থেকে দূরে বসে খৈনি খান।” তিনি আরও বলেন, একুশে পরিবর্তন হবেই। জনতার উদ্দেশে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বার্তা, ”নিশ্চিন্তে ভোট দিন। হুমকি ভয় দেখালে আমাদের জানান, আমরা ব্যবস্থা নেব।”