
বারাসত: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এবারের ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোল। সেখানে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে দেহাংশ। বিস্ফোরণে উড়েছে বাড়ির দেওয়াল। আহতদের বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী দত্তপুকুর থানার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
এই বাড়িতে বিস্ফোরণ
আজ সকাল ৮টা নাগাদ কেঁপে ওঠে মোছপোল এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল আশেপাশের বাড়িগুলিও কেঁপে ওঠে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে বাজি কারখানাটি চলছিল। তবে কী কারণে বিস্ফোরণ তা এখনও জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “এসে দেখি দশ থেকে বারোটা বডি পড়ে রয়েছে। দু-তিনজনকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিলাম। ওখানে বোমের মশলা ছিল। সেটা ব্লাস্ট হয়েছে।”
আরও এক বাসিন্দা বলেন, “সকাল বেলা বোমের শব্দ শুনতে পাই। সেই শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখি বাড়ি ঘর ভেঙে লোক ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। পাশের বাড়িতে একটি শিশু ও এক মহিলা আটকে ছিলেন। আমরা দ্রুত পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করি।” আরও একজন জানালেন, বিস্ফোরণ ঘটনার পর বাড়ির নীচ দিয়ে যাঁরা যাচ্ছিলেন। চাঙর ভেঙে পড়ে তাঁরাও আহত হয়েছেন। এলাকায় পৌঁছেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। জনতাকে হঠানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
এর আগে মে মাসে এগরার খাদিকুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় কম পক্ষে নয় জনের। সেই ঘটনার পর চলে ধরপাকড়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, সেই ঘটনার সাড়ে তিন মাস কাটতে না কাটতেই আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলা। এ বারও কাঠগড়ায় সেই বেআইনি বাজি কারখানা। এর ফলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসন একাধিকবার সতর্ক করার পরও যে টনক নড়ছে না তা আরও একবার জানা আঙুল দিয়ে দেখাল মোছপোল।