
সুজয় পাল, গয়া দণ্ডপাট ও চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়ের রিপোর্ট
কলকাতা: আবারও বালি পাচার মামলায় তৎপর (ED)। রাজ্যের প্রায় আট জায়গায় চলছে জোরদার তল্লাশি অভিযান। ঝাড়গ্রাম, আসানসোলে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। জানা যাচ্ছে, লালগড় আর গোপীবল্লভপুরে অভিযান চালিয়েছে ইডি। যে সময় ইডি আধিকারিকরা পৌঁছন সেই সময়ও বালি তোলা হচ্ছিল বলে খবর।
বস্তুত, এর আগেও বালি পাচার মামলায় তল্লাশিতে নামে ইডি। কয়েকদিন আগেই ঝাড়গ্রামে যান কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। এখানে রয়েছে ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়ি। জানা যাচ্ছে, সৌরভের এই লালগড়ের সিজুয়ার খাদানে লাগাতার বালি তোলা হচ্ছিল। সারি সারি লরি দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে। তবে কোনও মালিককে দেখা যায়নি। শেষ পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছে, গোপাল নামে এক ব্যক্তিকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে কে এই গোপাল তার পরিচয় এখনও জানতে পারা যায়নি।
অপরদিকে, আসানসোলের মুরগাসলে বালি ব্যবসায়ী মনীস বাগারিয়ার বাড়িতেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপর একটি দল। একই সঙ্গে কলকাতারও একটি অফিসের সন্ধান করছে ইডি। মধ্য কলকাতার পোদ্দার কোর্ট এলাকায় একটি অফিসের সন্ধান করছে তারা। এর আগে বেহালার একটি কোম্পানিতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা।
বালি তোলার জন্য যে অনুমতি পত্র থাকে তা জাল করে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী বেআইনি ভাবে বালি তোলে। সুতরাং সেই জালিয়াতির মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন কীভাবে হয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখার জন্য ইডি আধিকারিকরা এই তদন্ত করছে।
এর আগে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে শেখ জহিরুল আলির বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। এই ব্যক্তি আগে ভিলেজ পুলিশ ছিলেন। তারপর চাকরি ছেড়ে বালির ব্যবসায় নামেন। তাঁর একাধিক বালির খাদান রয়েছে। সেখানেও হানা দেয় এজেন্সি। এর পাশাপাশি তল্লাশি চলে বেহালার জেমস লং সরণীর জিডি মাইনিং সংস্থায়। এই সংস্থার আরেও একটি অফিস রয়েছে বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে। দুই অফিসেই চলে তল্লাশি।