কলকাতা: উনিশের পর একুশের ভোটের আগেও বীরভূমের দৌর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল নজরবন্দি করল নির্বাচন কমিশন। আজ, অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল অষ্টম দফার ভোট শেষ না হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অষ্টম দফায় বীরভূমে নির্বাচন রয়েছে। যদিও তার আগে নজরবন্দি হয়েও ‘কুছ পরোয়া নেহি’ তাঁর। জানিয়ে দিলেন, নজরবন্দি থাকলেও ‘খেলা হবে’।
২০১৬ বিধানসভা, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগেও অনু্ব্রতকে ‘আটকাতে’ একই পদক্ষেপ করেছিল কমিশন। এ বারও প্রত্যাশিতভাবে তাঁকে ফের একবার নজরবন্দি করা হয়েছে। যদিও দিনকয়েক আগেই বীরভূমে প্রচারে গিয়ে মমতা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, নজরবন্দি করা হলে যেন আদালতে যান অনুব্রত। তবে তিনি এই নজরবন্দির বিরোধিতায় সত্যিই আদালতে যাবেন কি না. সেটা জানা যায়নি।
এই সময় অবাধ বিচরণ বন্ধ থাকবে অনুব্রতর। তাঁর গতিবিধি উপর নজর রাখতে যেমন বাড়ির সামনে পুলিশি পাহারা মোতায়েন করা থাকবে, তেমনই রিটার্নিং অফিসার পদমর্যাদার একজন অফিসারও থাকবেন। কোথাও যেতে হলে সেই রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। তাঁকে আদৌ যেতে দেওয়া হবে কি না সেই সিদ্ধান্তও নেবেন রিটার্নিং অফিসারই। যদিও ভোট দিতে যেতে পারবেন ‘কেষ্ট’। নিয়মের অমান্য হলে তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: শরীরটা ভাল নেই, করোনাতেও ‘ভয়’, সিবিআইয়ের কাছে দু’ সপ্তাহ সময় চাইলেন ‘কেষ্ট’
যদিও নজরবন্দি হয়েও দমতে নারাজ অনুব্রত। এ দিন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর সদর্পে তিনি জানিয়েছেন, “এটা কমিশনের রুটিন কাজ। প্রতিবারই করা হয়। নজরবন্দি থাকলেও খেলা হবে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “ভাল লাগছে। ওদের বেশ আনন্দ লাগে। ওরা আনন্দ উপভোগ করে। আর আমি চাষার ঘরের ছেলে, গ্রাম বাংলার মানুষের হয়ে কাজ করে বেড়াই।” অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য পালটা কটাক্ষের সুরে বলেন, “অনুব্রত বাড়িতে বসেই এ বার নির্বাচনটা দেখুক। আর চড়াম চড়াম শব্দ বীরভূমে মাটিতে শোনা যাচ্ছে না।”
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা মায়ের কাছ থেকে কি গর্ভের সন্তানে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস?