কলকাতা: বছর দুয়েক আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে বসে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘দুধ দেওয়া গরু’ বলে উল্লেখ্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকেই কার্যত সাফ হয়ে যায়, রাজ্যের মুসলিম সমাজের প্রতি কতটা আস্থাভাজন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সংখ্যালঘুদের সৌজন্যেই কার্যত তৃতীয়বার প্রত্যাবর্তনের রাস্তায় কিছুটা এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল নেত্রী। আট দফার নির্বাচন শেষে পোলস্ট্র্যাট এবং TV9 বাংলা এক্সিট পোলের যে ফলাফল সামনে এনেছে তাতে ইঙ্গিত মিলছে, সংখ্যালঘুরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।
এই এগজিট পোল সমীক্ষায় কেবলই একটা আভাস বা অনুমান পাওয়া যাবে যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের ফলাফল কেমন হতে পারে। তবে এটাই যে হতে চলেছে তা কখনই বলা যাবে না। এই সমীক্ষায় একাধিক প্রশ্নে যে জবাব রাজ্যবাসী দিয়েছেন, তার একটা শতাংশের হিসেব তুলে ধরা হচ্ছে। এর সঙ্গে বাস্তব ফলাফলের ফারাক হতে পারে।
একুশের বিধানসভা ভোটে শাসকদলের রক্তচাপ বাড়িয়ে ভোট ময়দানে নেমেছিলেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। সংখ্যালঘু সমাজে তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে তৃণমূলের সুরক্ষিত ভোটবাক্সে তিনি ভাগ বসাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে ২৯৪ টি আসনের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, সিংহভাগ সংখ্যালঘুদের হৃদয় জুড়ে এখনও রাজ করছেন মমতা। একুশের নির্বাচনে মেরুকরণের প্রভাব এতটাই পড়েছে যে পীরজাদা ভোট ময়দানে নেমেও খুব বেশি ক্ষতি করতে পারেননি মমতার। ঠিক যে কারণের তৃতীয়বারও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছতে চলেছে তৃণমূল।
এক্সিট পোলের ফলাফলে উঠে এসেছে, আইএসএফ সমর্থিত সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৪.১০ শতাংশ সংখ্যালঘুরা। বিজেপির ভাগেও প্রায় ১৪ শতাংশ ভোট থাকছে। অর্থাৎ, বিজেপিও একটা অংশের মুসলিম ভোট পাচ্ছে এ রাজ্যে। তবে সংখ্যালঘুদের মধ্যে জনপ্রিয়তার বিচারে তৃণমূলের জুড়ি মেলা ভার। সমীক্ষায় ইঙ্গিত, ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটই গিয়েছে তৃণমূলের ভোটবাক্সে। যার দৌলতে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতে পারেন মমতা। অন্যান্যদের ভোট দিয়েছেন ১.৯০ শতাংশ মুসলিম
তবে একটা কথা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। এগজিট পোলে কখনই সঠিক ফলাফল আগে থেকে তুলে ধরে না। এতে কেবল মাত্র একটা আভাস পাওয়া যায় কোনও দলের ফলাফল কেমন হতে পারে। বাস্তব চিত্রটার জন্য ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
আরও পড়ুন: Exit Poll Result 2021 West Bengal Elections: বাংলার মেয়েরা ‘বাংলার মেয়েকেই’ চায়
কলকাতা: বছর দুয়েক আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে বসে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘দুধ দেওয়া গরু’ বলে উল্লেখ্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকেই কার্যত সাফ হয়ে যায়, রাজ্যের মুসলিম সমাজের প্রতি কতটা আস্থাভাজন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সংখ্যালঘুদের সৌজন্যেই কার্যত তৃতীয়বার প্রত্যাবর্তনের রাস্তায় কিছুটা এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল নেত্রী। আট দফার নির্বাচন শেষে পোলস্ট্র্যাট এবং TV9 বাংলা এক্সিট পোলের যে ফলাফল সামনে এনেছে তাতে ইঙ্গিত মিলছে, সংখ্যালঘুরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।
এই এগজিট পোল সমীক্ষায় কেবলই একটা আভাস বা অনুমান পাওয়া যাবে যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের ফলাফল কেমন হতে পারে। তবে এটাই যে হতে চলেছে তা কখনই বলা যাবে না। এই সমীক্ষায় একাধিক প্রশ্নে যে জবাব রাজ্যবাসী দিয়েছেন, তার একটা শতাংশের হিসেব তুলে ধরা হচ্ছে। এর সঙ্গে বাস্তব ফলাফলের ফারাক হতে পারে।
একুশের বিধানসভা ভোটে শাসকদলের রক্তচাপ বাড়িয়ে ভোট ময়দানে নেমেছিলেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। সংখ্যালঘু সমাজে তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে তৃণমূলের সুরক্ষিত ভোটবাক্সে তিনি ভাগ বসাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে ২৯৪ টি আসনের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, সিংহভাগ সংখ্যালঘুদের হৃদয় জুড়ে এখনও রাজ করছেন মমতা। একুশের নির্বাচনে মেরুকরণের প্রভাব এতটাই পড়েছে যে পীরজাদা ভোট ময়দানে নেমেও খুব বেশি ক্ষতি করতে পারেননি মমতার। ঠিক যে কারণের তৃতীয়বারও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছতে চলেছে তৃণমূল।
এক্সিট পোলের ফলাফলে উঠে এসেছে, আইএসএফ সমর্থিত সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৪.১০ শতাংশ সংখ্যালঘুরা। বিজেপির ভাগেও প্রায় ১৪ শতাংশ ভোট থাকছে। অর্থাৎ, বিজেপিও একটা অংশের মুসলিম ভোট পাচ্ছে এ রাজ্যে। তবে সংখ্যালঘুদের মধ্যে জনপ্রিয়তার বিচারে তৃণমূলের জুড়ি মেলা ভার। সমীক্ষায় ইঙ্গিত, ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটই গিয়েছে তৃণমূলের ভোটবাক্সে। যার দৌলতে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতে পারেন মমতা। অন্যান্যদের ভোট দিয়েছেন ১.৯০ শতাংশ মুসলিম
তবে একটা কথা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। এগজিট পোলে কখনই সঠিক ফলাফল আগে থেকে তুলে ধরে না। এতে কেবল মাত্র একটা আভাস পাওয়া যায় কোনও দলের ফলাফল কেমন হতে পারে। বাস্তব চিত্রটার জন্য ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
আরও পড়ুন: Exit Poll Result 2021 West Bengal Elections: বাংলার মেয়েরা ‘বাংলার মেয়েকেই’ চায়