দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কালীপুজোর আগে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ২০০ কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল খানাকুল থানার পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে খানাকুলের নতিপুরে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, খানাকুলের এই নতিবপুর এই হাওড়া সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় কালীপুজোর আগে শব্দবাজির কেনাবেচা হয়। পুলিশের কাছে সে খবর আগেই ছিল। আর এখানেই হানা দিয়ে সাফল্য পায় পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে কয়েক হাজার নিষিদ্ধ চকোলেট বোম। নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধারের পর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এদিকে, আবার উত্তর ২৪ পরগনার বাসুদেবপুর থানায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আদান-প্রদান ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের নাম নরেশ চৌধুরী, তিনি কাঁকিনাড়ার সুকান্তপল্লির বাসিন্দা। উমেশ কুমার রায়, তিনি কাঁকিনাড়া সুকান্তপল্লির বাসিন্দা। শঙ্কর পাল কেউটিয়া বাজারপাড়ার বাসিন্দা। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫০ কেজি পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং ৫০ আর্সেনক সালফেট (৫০+৫০)। মূলত এইগুলি ব্যবহার করা হয় বিস্ফোরক বানানোর জন্য। ধৃতদের বিরুদ্ধে স্পেশ্যাল কেস দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালনগর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর এলাকায় তারক ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ীর গোডাউন থেকে ২ হাজার কিলো শব্দবাজি উদ্ধার করে গোপালনগর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া বাজির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। তারক মূলত বনগাঁর বিভিন্ন বাজারে বাজি সরবরাহ করে থাকেন। কালীপুজোর সময় বনগাঁ-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে এই বাজিগুলো সরবরাহের জন্যই গাঙনাপুর থেকে এনে সাতবেড়ের এই গোডাউনে মজুত করেছিলেন তারক ঘোষ। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায়।