
সাগরদিঘি: ‘তৃণমূল কংগ্রেস আলিপুরের চিড়িয়াখানার রাজহাঁসের মতো।’ শনিবার সাগরদিঘি (Sagardighi) উপ-নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এমনই দাবি জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। একইসঙ্গে বিজেপি নেতাদের ‘পরিযায়ী পাখি’ এবং প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ‘ডন’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।
সাগরদিঘি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে এদিন দাবি জানান ফিরহাদ হাকিম। এদিন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় রোড শো করেন পুরমন্ত্রী। তারপর সন্ধ্যায় রতনপুরে জনসভা করে বিজেপি নেতাদের পরিযায়ী পাখিদের কটাক্ষ করেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস আলিপুরের চিড়িয়াখানার রাজহাঁসের মতো, সারা বছরই থাকে। কিন্তু এখানে কিছু পরিযায়ী পাখি আসে, তারা গরম পড়লেই চলে যায়। ২০২১ সালে এসেছিল। এবারও ভোটের সময় এসেছে। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় সাগরদিঘির মানুষের পাশে আছে।” তাই সাগরদিঘি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল, আছে এবং থাকবে বলেও দাবি জানান তিনি।
এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন রাজ্যের মন্ত্রী। একেবারে ব্যক্তিগত স্তরে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাঁদের নামে কুৎসা করছে বলেও তোপ দাগেন ফিরহাদ। একইসঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএম জোটকে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরিকেও কটাক্ষ করেন ফিরহাদ। সাগরিদঘির কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে ‘পাগল’ এবং অধীর চৌধুরীকে ‘ডন’ বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “একটা পাগল প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে। কয়েকদিন আগে সে আমার কাছে দেখা করার জন্য গিয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা বলেছিল, সময় হবে না। এদিক-ওদিক ঘুরতে-ঘুরতে অধীরবাবুর কাছে গিয়েছিল। অধীরবাবুও কোলে তুলে প্রার্থী করে দিয়েছেন। কিন্তু, তারপর ভিতরে কি লেনদেন হয়েছে জানি না।” তবে যাই হোক, এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবে বলেও দাবি জানান ফিরহাদ।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি উপ-নির্বাচন। এই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুতে পুনরায় নির্বাচন হচ্ছে সাগরদিঘিতে। ফলে তৃণমূল যেমন জমি ধরে রাখতে মরিয়া, তেমনই জমি দখল করতে প্রচারে খামতি রাখছে না বিজেপি। আবার ভোট কাটাকুটির খেলায় জিততে বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এবার শেষ হাসি কে হাসে, সেটাই দেখার!