Food poison: কাউন্সিলরের পিকনিকে মাংস-ভাত, মাঝরাত থেকেই পেটে ব্যথা শুরু ওয়ার্ডবাসীর

Food poison: স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাউন্সিলরের নেতৃত্বে একটি পিকনিক করে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য।

Food poison: কাউন্সিলরের পিকনিকে মাংস-ভাত, মাঝরাত থেকেই পেটে ব্যথা শুরু ওয়ার্ডবাসীর
বসানো হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 6:08 PM

তমলুক : রবিবারের দুপুরে মাংস, ভাত, চাটনি, পাপড় সহযোগে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সেই পিকনিকে (Picnic) অংশও নিয়েছিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধল রাত থেকে। রবিবার মধ্যরাত থেকে ওই ওয়ার্ডের একাধিক বাসিন্দার পেটে ব্যাথ্যা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বমিও করেছেন। এই ঘটনায় কার্যত চাঞ্চল্য তৈরি হয় এলাকা। সোমবার সকালেই খবর পেয়ে এলাকায় যান পুরসভার চেয়ারম্যান ও অন্যান্য আধিকারিকরা। দ্রুত মেডিক্যাল টিম বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে কারও অবস্থা খুব গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে পুরসভার তরফে। অসুস্থতার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের (Tamluk) তাম্রলিপ্ত পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাউন্সিলরের নেতৃত্বে একটি পিকনিক করে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য। রবিবার সকাল রূপনারায়ণ নদীর ধারে এই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। সকালে টিফিনে ছিল, ছোলা ভাজা, মুড়ি আর বেগুনি। দুপুরে ছিল ভাত, ডাল, আলু ভাজা, বাঁধাকপি, মাংস, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি। খাওয়ার পর কেউ কিছু বুঝতে পারেননি। তবে মাধরাত থেকে ওয়ার্ডের বেশির ভাগ বাসিন্দার একই অবস্থা।

তমলুক পুরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় হেলথ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে দুই একজনের অবস্থা গুরুতর, তাঁর স্যালাইনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৌমেন চক্রবর্তী। চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জানান, আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষক্রিয়া বলে মনে হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। অন্যদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এলাকার বিজেপি নেত্রী সোমা দে। তাঁর দাবি, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ।