
নদিয়া: হাঁসখালি মামলায় সাজা ঘোষণা। নাবালিকাকে গণধর্ষণের মামলায় সোমবারই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। আজ, মঙ্গলবার তিন অভিযুক্তকে আমৃত্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণ, খুন, প্রমাণ লোপাট সহ একাধিক ধারায় শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। ৯ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল রানাঘাট এডিজে আদালত। ২০২২ সালের এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। মূল অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল তৃণমূল নেতা ও তাঁর ছেলের নাম।
ব্রজ ওরফে সোহেল গোয়ালি, রঞ্জিৎ মল্লিক ও প্রভাকর পোদ্দারকে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেই মূলত গণধর্ষণের অভিযোগ ছিল। সোহেলের বাবা সমর গোয়ালিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সহযোগিতা ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। ৯ জনের মধ্যে একজন ঘটনার সময় নাবালক ছিলেন। তাঁকে আপাতত জামিনে রেখে নজরদারি করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক বছর পর আদালত তাঁর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুই নাবালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গোয়ালির ছেলে ব্রজ ওরফে সোহেলের জন্মদিনের পার্টিতে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়ে বলে অভিযোগ ওঠে সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে। এরপর নির্যাতিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। রাতেই মৃত্যু হয় নাবালিকার। পরে কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই ওই নাবালিকার দেহ দাহ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
তিন বছর ধরে নিম্ন আদালতে এই বিচার প্রক্রিয়া চলছিল। অবশেষে সাজা ঘোষণা করা হল। পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন সমরেন্দ্র গোয়ালি। তিনি প্রভাব খাটিয়ে প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠলে সিবিআই-কে তদন্তভার দেওয়া হয়।