AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Haskhali Case: গণধর্ষণের পর শ্মশানে দাহ! সাড়া জাগানো হাঁসখালি গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতা ও তাঁর ছেলে

Haskhali Case: ২০২২ সালের হাঁসখালির বুকে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস ঘটনায় সারা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দেয়। এক কিশোরীকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ নির্যাতনের পর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে যাওয়া হয়। রাতভর বাড়িতে রক্তক্ষরণ হয় ওই কিশোরীর।

Haskhali Case: গণধর্ষণের পর শ্মশানে দাহ! সাড়া জাগানো হাঁসখালি গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতা ও তাঁর ছেলে
ডান দিকে তৃণমূল নেতা, বাঁদিকে ছেলেImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2025 | 3:26 PM
Share

নদিয়া: ২০২২ সালে নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকা গণধর্ষণ ও জোর করে শ্মশানে পুড়িয়ে দেওয়া! ঘটনায় ৯ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল রানাঘাট এডিজে আদালত। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা।  এই মামলা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছিল।

এই মামলায় মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালি ওরফে সোহেল গোয়ালি ও তাঁর বাবা সমরেন্দ্র গোয়ালি। ১. সোহেল গোয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিককে 120B (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) , 34 (নিজেকে আড়ালের চেষ্টা), 201 (ভুল তথ্য দেওয়া), 506 (ভয় দেখানো), 304(2) (ছিনতাই), 376DA IPC ও POCSO 6  ধারা অর্থাৎ ১৬ বছরের কম বয়সী মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগের ধারায় অভিযুক্ত।

২. সুরজিৎ রায় ও আকাশ বাড়ৈ 120B, 34, 506 ও 120B IPC ধারায় অভিযুক্ত।

৩. সমরেন্দ্র গোয়ালি, দীপ্ত গয়ালি ও পীযূষ কান্তি ভক্ত 506, 201, 120B ও 34 IPC ধারায় অভিযুক্ত।

৪. অংশুমান বাগচী 120B, 34 ও 201IPC ধারায় অভিযুক্ত।

২০২২ সালের হাঁসখালির বুকে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস ঘটনায় সারা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দেয়। এক কিশোরীকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ নির্যাতনের পর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে যাওয়া হয়। রাতভর বাড়িতে রক্তক্ষরণ হয় ওই কিশোরীর। তারপর রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।  অভিযোগ, সেই মৃতদেহ মৃতের শংসাপত্র ছাড়াই দাহ করে দেওয়া হয়। বাড়ির লোকজনকে ভয় দেখিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গোয়ালির ছেলে ব্রজগোপাল অর্থাৎ সোহেলের।

এর আগে আদালতের বাইরে দাঁড়িয়েই পাল্টা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেদিনও তিনি বলেছিলেন, “আমার বাড়ি থেকে সেদিন সাড়ে পাঁচটাতেই বেরিয়ে গিয়েছিল ও। ব্রজ এগোতে গিয়েছিল। কিন্তু ব্রজকে ও মাঝপথেই ছেড়ে বলেছিল, এ একাই চলে যেতে পারে। তারপর যা ঘটেছে, সেটা নিন্দনীয় ঘটনা। আমি সঠিক তদন্ত চাই। তবে একটা কথা বলব, ওর বাবা-মা কেমন. যে মেডিক্যাল টেস্ট করাল না, ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল না, কিংবা ময়নাতদন্তও হল না। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা দেখতে হবে।”  কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই যখন এই ঘটনায় তদন্তভার হাতে নেয়। তদন্তে উঠে আসে তৃণমূল নেতা ও তাঁর ছেলেই আসল অপরাধী।