AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মৃত্যুর কয়েক মাস আগে কোন ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র? ভিডিয়ো ভাইরাল

শ্রীরাম রাঘবনের আগামী ছবি ‘ইক্কিস’- শেষবার পর্দায় দেখা যাবে প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে। সম্প্রতি অভিনেতা সানি দেওল তাঁর ইনস্টাগ্রামে এই ছবির শ্যুটিংয়ের একটি ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্যুটিংয়ের শেষ দিনে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।

মৃত্যুর কয়েক মাস আগে কোন ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র? ভিডিয়ো ভাইরাল
| Updated on: Dec 22, 2025 | 3:18 PM
Share

বলিউডের ‘হিম্যান’ ওরফে ধর্মেন্দ্র আর নেই, কিন্তু তাঁর শেষ কাজের স্মৃতি আজও অমলিন। পরিচালক শ্রীরাম রাঘবনের আগামী ছবি ‘ইক্কিস’- শেষবার পর্দায় দেখা যাবে প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে। সম্প্রতি অভিনেতা সানি দেওল তাঁর ইনস্টাগ্রামে এই ছবির শ্যুটিংয়ের একটি ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্যুটিংয়ের শেষ দিনে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।

এই ভিডিয়োতে কিংবদন্তি অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, “মাণ্ডব ফিল্মসের সঙ্গে কাজ করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। পুরো টিম এবং আমাদের ক্যাপ্টেন শ্রীরামজি অসাধারণভাবে কাজটা করেছেন।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমার মনে হয় ভারত এবং পাকিস্তান— দুই দেশের মানুষেরই এই ছবিটা দেখা উচিত। আজ শ্যুটিংয়ের শেষ দিন, আমার মনটা একটু বিষণ্ণ হলেও আমি খুব খুশি। আপনাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসি। কাজ করতে গিয়ে কোনো ভুল করে থাকলে আমায় ক্ষমা করে দেবেন।”

ছবির নাম ‘ইক্কিস’ রাখার পেছনে রয়েছে এক বীর যোদ্ধার বীরত্বের কাহিনী। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে মাত্র ২১ বছর বয়সে শহীদ হয়েছিলেন অরুণ খেতরপাল। ভারতের কনিষ্ঠতম ‘পরমবীর চক্র’ জয়ী এই সেনানিকে শ্রদ্ধা জানাতেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। ছবির নাম সরাসরি তাঁর বয়সকেই নির্দেশ করে।

শ্রীরাম রাঘবনের এই ছবিতে অরুণ খেতরপালের চরিত্রে অভিনয় করছেন নবাগত অগস্ত্য নন্দা। বাণিজ্যিক ছবির পথে না হেঁটে পরিচালক এখানে গুরুত্ব দিয়েছেন বাস্তবতাকে। ছবির মূল ফোকাস রাখা হয়েছে সামরিক শৃঙ্খলা, যুদ্ধক্ষেত্রের কঠিন সিদ্ধান্ত এবং ব্যক্তিগত সাহসিকতার ওপর। কোনো অতি-নাটকীয়তা বা মেলোড্রামা নয়, বরং যুদ্ধের মানবিক মূল্য এবং একজন প্রকৃত বীরের আত্মত্যাগকে ঐতিহাসিকভাবে নির্ভুল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

এই ছবিতে ধর্মেন্দ্রর উপস্থিতি কাহিনীতে এক আলাদা গভীরতা যোগ করেছে। নিজের শেষ নিশ্বাসের আগে পর্যন্ত তিনি চেয়েছিলেন, এই বীরগাথা যেন সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষের কাছেই সম্প্রীতি ও সাহসিকতার বার্তা নিয়ে পৌঁছয়।