ছাত্রীকে বাইরে বার করে পোশাক পাল্টাতেন গৃহশিক্ষিকা, আলমারি খুলে হাঁ সেনানীর পরিবার!

Home Tutor Arrested: পড়াতে এসেই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দিতেন বাড়ির বাইরে। কখনও বলতেন, জামা চেঞ্জ করব, কখনও নানাবিধ কারণ দেখাতেন। এভাবেই দফায় দফায় ছাত্রীর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা-গয়না সরানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক গৃহশিক্ষিকা।

ছাত্রীকে বাইরে বার করে পোশাক পাল্টাতেন গৃহশিক্ষিকা, আলমারি খুলে হাঁ সেনানীর পরিবার!
আলমারি খুলে হাঁ ছাত্রীর মা
Follow Us:
| Updated on: Aug 18, 2021 | 4:09 PM

বাঁকুড়া: পড়াতে এসেই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দিতেন বাড়ির বাইরে। কখনও বলতেন, জামা চেঞ্জ করব, কখনও নানাবিধ কারণ দেখাতেন। এভাবেই দফায় দফায় ছাত্রীর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা-গয়না সরানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক গৃহশিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের শাঁখারিবাজার এলাকায়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রার্থনা কোলে নামে ওই গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

সূত্রের খবর, হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা প্রার্থনা কোলে বছর দেড়েক আগে বিষ্ণুপুর শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে শাঁখারিবাজার এলাকায় আসেন। তিনি থাকতেন ছিন্নমস্তা, দলমাদল রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া  নিয়ে। ঘটনাচক্রে গত তিন মাস আগে শাঁখারিবাজারের বাসিন্দা ওই স্কুলেরই ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর গৃহশিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।

ওই ছাত্রীর মা পাপিয়া পাল জানান, প্রার্থনা কোলে নামে ওই শিক্ষিকা দুপুরে মেয়েকে পড়াতে আসতেন। প্রায় দিনই পোশাক পাল্টানোর অছিলায় ১০-১৫ মিনিট করে মেয়েকে বাড়ির বাইরে বের করে দিতেন। দুপুরে পড়াতে এসে নানা অছিলায় এভাবে মেয়েকে বাড়ির বাইরে বের করে দরজা বন্ধ করে দিতেন তিনি। প্রথম দিকে বিষয়টি সেভাবে নজরে না এলেও পরে সন্দেহ হয়। তাঁরা খেয়াল করে দেখেন ওই ঘরে আলমারির ভেতরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা হাওয়া, তার নোয়া ও ছেলের গলার চেন খোয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সেনাবাহিনীতে কর্মরত স্বামী বাড়ি এলে বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই শিক্ষিকার। পরে মঙ্গলবার শিক্ষিকাকে হাতেনাতে চুরি করতে গিয়ে ধরা হয় বলে দাবি তাঁদের। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। এর পর অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

এদিকে গ্রেফতারের খবর পেয়েই বিষ্ণুপুরে এসে পৌঁছেছেন ওই গৃহশিক্ষিকার পরিবারের লোকজন। প্রার্থনা কোলের কাকা স্বপন কুমার কোলে বলেন, ‘বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী আমার ভাইঝি যে এই ধরণের কাণ্ড করবে বিশ্বাস করতে পারছি না।’ তাঁর গ্রেফতারির খবর পেয়েই তাঁরা থানায় ছুটে আসেন বলে জানান। তবে এই ঘটনার পর তাঁদের সঙ্গে ভাইঝি প্রার্থনার কোনও কথা হয়নি বলে দাবি তাঁর।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকা প্রার্থনা কোলেকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ছাত্রীর পরিবার বলছে, শিক্ষিকাই যদি বিশ্বাসভঙ্গ করেন, তাহলে আর কাকে বিশ্বাস কর বাড়িতে ঢুকতে দেব!  আরও পড়ুন: ভোর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তুলতে লম্বা লাইন, দরজা খুলতেই পায়ের চাপে শিশু সহ পিষ্ট ৯