
হুগলি: কোন্নগর কানাইপুরে নাবালিকার ধর্ষণ ও খুন মামলায় শুক্রবার হল না ময়নাতদন্ত। এদিন শ্রীরামপুর ওয়ালস্ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কারণ ইতিমধ্যেই নাবালিকার দেহে পচন ধরেছে। সেই দেহের ময়নাতদন্তের পরিকাঠামো শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নেই। সেক্ষেত্রে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে দেহ। রাতটা শ্রীরামপুর মর্গেই রাখা হবে দেহ।
অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বিকেল চারটের সময় কানাইপুর কলোনির বাসিন্দা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বছর ১৩-র ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী এক যুবক। তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা, প্রথমে অভিযুক্তকে চেপেও ধরেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, চাপের মুখে অভিযুক্তই নাকি বলেছিলেন, খুন করে পুঁতে দিয়েছে। কিন্তু সে সময় অভিযুক্ত মদ্যপ ছিলেন, কথায় অসঙ্গতি ছিল। ওতটা গুরুত্ব না দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন, ততক্ষণে বেপাত্তা হয়ে যান অভিযুক্তও। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিকে, নাবালিকার খোঁজে স্নিফার ডগ এনে চলে তল্লাশি। এলাকারই একটি স্কুলের পিছনে এসে থেমে যায় স্নিফার ডগ। তার পিছনেই একটা পুকুর। সেই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে চলে তল্লাশি। কিন্তু তাতে কিছুই মেলে না। এরপর কাছের একটি বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ।