Hooghly: ভেঙে পড়ল প্যান্ডেল, কয়েক মিনিটের টর্নেডোয় বিধ্বস্ত চন্দননগর

Hooghly Tornado: ভোরের বেলা দিকে হঠাৎ দমকা হাওয়া সহ বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ টর্নেডোর মত পাক খাওয়া ঝড় বয়ে যায়। ভেঙে যায় নারুয়া শান্তির মাঠ এলাকার একটি পুজো কমিটির মন্ডপ। আশেপাশে থাকা বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে ইটের দেওয়াল।

Hooghly: ভেঙে পড়ল প্যান্ডেল, কয়েক মিনিটের টর্নেডোয় বিধ্বস্ত চন্দননগর
ভেঙে পড়েছে প্যান্ডেলImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 04, 2025 | 12:13 AM

হুগলি: ক্ষণিকের টর্নেডোয় বিধ্বস্ত চন্দননগরের নাড়ুয়া শান্তির মাঠ এলাকা! ভেঙে পড়ল পুজো প্যান্ডেল। কয়েক মিনিটেই লন্ডভন্ড চন্দননগরের নারুয়া শান্তিরমাঠ এলাকা। কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে ভেঙে গিয়েছে পুজো মন্ডপ থেকে বাড়ির চাল, আমগাছের ডাল। মন্ডপে লাগানো ঝাড় ভেঙে পড়ে। শুক্রবার সকালে ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হয়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ভোরের বেলা দিকে হঠাৎ দমকা হাওয়া সহ বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ টর্নেডোর মত পাক খাওয়া ঝড় বয়ে যায়। ভেঙে যায় নারুয়া শান্তির মাঠ এলাকার একটি পুজো কমিটির মন্ডপ। আশেপাশে থাকা বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে ইটের দেওয়াল। বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে হাওয়ার দাপটে। বড় বড় আম গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে বাড়ির উপরে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,  “ভোর বেলার হঠাৎ ঝড়ে সবই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এলাকার মানুষের। তবে কেউ হতাহত হয়নি। প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গিয়েছিল শুধু মন্ডপটা দাঁড়িয়ে ছিল,সেটাই ভেঙে পড়েছে।”

এমনিতেই উৎসবের মধ্যেই বাংলায় ছেয়েছে দুর্যোগের ছায়া। গভীর নিম্নচাপ দানা বেঁধেছে। দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমের কয়েকটি জেলা, যেমন মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে এক দুই জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাদবাকি জেলায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। ২৪ ঘণ্টা পরে  দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

এই গভীর নিম্নচাপের ফলে উপকূলের জেলাগুলিতে ৩৫ থেকে ৪৫ সর্বোচ্চ ৫৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। কিন্তু এদিন কোনও আগাম পূর্বাভাস ছাড়াই এরকম পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা ভাবতেও পারেনি কেউ। এক বাসিন্দা বললেন, “আমরা দেখছিলাম, আকাশ কালো করে আসছে, কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই দমকা ঝোড়ো বাতাস। সব কিছু তোলপাড় করে দিল। ভাগ্যিস পুজোটা শেষের দিকে। নাহলে প্যান্ডেলে ভিড় হচ্ছিল। অনেক সমস্যা হয়ে যেত।”