মদের দাম কেন বেশি! বচসা থেকেই রাতভর বোমাবাজি, জারি হল ১৪৪ ধারা

Jun 10, 2021 | 2:06 PM

কার্যত লকডাউনের মধ্যেই লুকিয়ে বিক্রি হচ্ছিল মদ। আর সেই মদের ঠেকেই বচস তুঙ্গে ওঠে।

মদের দাম কেন বেশি! বচসা থেকেই রাতভর বোমাবাজি, জারি হল ১৪৪ ধারা
দুই পক্ষের সংঘর্ষ চন্দননগরে

Follow Us

চন্দননগর: বিবাদ থেকে কথা-কাটাকাটি, ঝামেলা গড়াল বোমাবাজিতে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির চন্দননগর। গণ্ডগোলের জেরে জারি করা হল ১৪৪ ধারা। নামানো হয়েছে র‍্যাফ। রাতভর ব্যাপ গণ্ডগোলের জেরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ

মদের ঠেক থেকেই এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। রাতে কাঁচের বোতল ভাঙা আর বোমা ফাটার শব্দে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে চন্দননগরের উর্দিবাজার এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল রাত ১০টা নাগাদ চন্দননগর নীচুপট্টি এলাকায় মদের ঠেকে ঝামেলা শুরু হয়।কার্যত লকডাউনে লুকিয়ে মদ বিক্রি হয় ওই এলাকায়।মদের দাম কেন বেশি নেওয়া হচ্ছে, সেই ইস্যুতেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। বচসা থেকে হাতাহাতি হয়ে অশান্তি শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। শুরু হয় ভাঙচুর। বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি দোকানে।

লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে একটি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর চালানো হয়।দুই পক্ষের মধ্যে চলতে থাকে ইট ও মদের বোতল ছোড়াছুড়ি। পরপর বোমা ফাটার শব্দও শোনা যায়। ঘটনার খবর পেয়ে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ও দমকল হাজির হয় ঘটনাস্থলে।পুলিশকে লক্ষ্য করেও কাঁচের বোতল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত হন দুই পুলিশ কর্মী।পরে র‍্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। চন্দননগর পুর নিগমের ৫, ৬, ৭, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার, নীচুপট্টি, চাউলপট্টি, উর্দি বাজার, বিন্দুবাসিনী পাড়ায় সব দোকান পাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘দুই এলাকার মানুষ এক জায়গায় বসে গল্প করার সময়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা লাগে। ধীরে ধীরে বিবাদ সংঘর্ষের রূপ নেয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি।’ ডিসিপি হেড কোয়ার্টার প্রবীণ প্রকাশ জানান, ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী ও এক স্থানীয় বাসিন্দা আহত। একটি দোকানেও আগুন ধরানো হয়েছিল। তবে দমকলের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আপাতত পুলিশ পিকেট বসিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দাড়ি কাটতে প্রধানমন্ত্রীকে ১০০ টাকা পাঠালেন চা বিক্রেতা! সঙ্গে চিঠিতে কী লিখলেন তিনি?

রথতলার এক বাসিন্দা বলেন, ‘ওরা যে ভাবে বোমাবাজি করেছে, তাতে আহত হতে পারতেন যে কোনও পথচলতি মানুষ।’ সংঘর্ষ প্রশমিত করতে গিয়ে যেখানে পুলিশ নিজেই আক্রান্ত, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদে বাস করবে, অতিমারীর আবহে সেই প্রশ্নও উঠছে নানা মহল থেকে। পাশাপাশি লকডাউনের মাঝে একজন একজায়গায় কী ভাবে আড্ডা দেয়, সেই প্রশ্নও উঠেছে চন্দননগর পুলিশের দিকে।

Next Article