
চুঁচুড়া: প্রেম ছিল দুজনের মধ্যে। বিয়ে করে সেই প্রেমকে পরিণতিও দিয়েছিলেন তাঁরা। দুই পরিবারই মেনে নিয়েছিল তাঁদের সম্পর্ক। এর পর অনেক আশা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন ১৯ বছরের যুবতী। গুছিয়ে সংসারও করছিলেন। কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন স্থায়ী হল না। বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার হল গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে হুগলি জেলার চুঁচুড়ার মল্লিক কাশেম হাটে। মৃত যুবতীর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন যুবতী। অন্য দিকে তাঁর পরিবারের লোকের দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মল্লিক কাশেম হাটের বাসিন্দা অভিজিৎ সাহার (২০) সঙ্গে পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল কোদালিয়ার বাসিন্দা প্রিয়া চক্রবর্তীর (১৯)। প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। অভিজিৎ স্থানীয় একটি মুদি দোকানে কাজ করেন। শনিবার প্রিয়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রিয়ার বাবাকে ফোন করে হাসপাতালে আসে বলা হয়। চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে এসে প্রিয়ার বাবা মুকুল চক্রবর্তী দেখেন, এমার্জেন্সি বিভাগের সামনে স্ট্রেচারে পড়ে তাঁর মেয়ের দেহ। গলায় ফাঁসের দাগও দেখতে পান তিনি। তা দেখেই যুবতীর বাবার অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ এনেছেন মৃতের বাবা।
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে যুবতীর শাশুড়ি জয়া সাহা জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও ঝগড়া অশান্তি ছিল না। মেয়ের মতোই তাঁর বাড়িতে থাকতেন বউমা। আজ দুপুরে বৃষ্টি হচ্ছে খিচুড়ি বানাতেও বলে। কেন এ রকম ঘটনা প্রিয়া ঘটালো তা বুঝে উঠতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ঘটনা নিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।