ডানকুনি: জামাইষষ্ঠীর দিন ডানকুনি (Dankuni) বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক বৃদ্ধকে ফেলে চলে গিয়েছিল তাঁর ছেলে-বৌমা। দিনভর ওই এলাকাতেই পড়েছিলেন অশীতিপর নিখিল দাস। ফেলেছেন চোখের জল। বাড়ি তাঁর বনগাঁয়। টিভি-৯ বাংলায় এই খবর সম্প্রচার করে। TV9-এর ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছিল অমানবিকতার সেই ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) উঠেছিল নিন্দার ঝড়। বৃদ্ধের ছেলে-বৌমার কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। খবর পৌঁছেছিল পুলিশের কাছে।
শেষে পুলিশই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। যদিও ওইদিন তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলেই খবর মিলেছিল। সন্ধ্যায় এলাকার এক সমাজসেবীর বাড়িতে ঠাঁই হয় ওই বৃদ্ধের। অবশেষে ঘর ফিরে পেলেন ওই বৃদ্ধ। সূত্রের খবর, বৃদ্ধের বাড়ি বনগাঁ থানার দাস পাড়া এলাকায়। ছেলের নাম শঙ্কর দাস ও বৌমা ঝর্না দাস।
বৃদ্ধ জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার সকালে ডানকুনিতে চোখের ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করানোর জন্য তাঁকে নিয়ে আসে তার ছেলে ও বৌমা। এরপর ডানকুনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁকে বসিয়ে রেখে চলে যায়। যদিও তাঁকে যে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে তার পরিবারের লোকেরাই তা প্রথম ঠাহর করতে পারেননি ওই বৃদ্ধ। খানিক পরেই পরিষ্কার হয় সবটা। বাসস্ট্যান্ড এলাকাতে বসেই ফেলতে থাকেন চোখের জল। এলাকার বাসিন্দাদের খুলে বলেন গোটা ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর ছেলে-বৌমার খোঁজ করলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সমাজসেবী ওই বৃদ্ধকে তাঁর বাড়িতে ঠাই দেয়। ডানকুনি থানার পুলিশ ওই বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলে। তাঁর নাম-ঠিকানা যেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে পুলিশের উদ্যোগে শুক্রবার বাড়ি ফিরতে সমর্থ হন অশীতিপর নিখিল।