Abhishek Banerjee: ‘৫ সেকেন্ডের ফুটেজ প্রকাশ করুন’, সোনা পাচারের অভিযোগ নিয়ে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
Abhishek Banerjee: নবজোয়ার কর্মসূচি আটকাতেই রুজিরাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন অভিষেক।
বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছে স্ত্রী রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইডি-র নোটিস। এরপরই কেন্দ্রীয় সংস্থা ও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। নবজোয়ার কর্মসূচি আটকাতেই এইভাবে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন অভিষেক। সেই সঙ্গে বিরোধীদের তোলা সোনা পাচারের অভিযোগও নস্যাৎ করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক।
কী বললেন অভিষেক? একনজরে
- আমার স্ত্রীকে আটকানো হয়েছে। আমার ছোট ছোট সন্তানদেরও আটকানো হয়েছে। ছেলের বয়স তিন বছর , মেয়ের বয়স ৯ বছর তাদেরও আটকেছে। তাদের অপরাধ কী? তারা আমার সন্তান।
- সারদা, নারদা, এসএসসি- সব মামলায় অনেক চেষ্টা করেছেন পারছেন না। তিন বছর হল কয়লা পাচারের তদন্ত চলছে। এতদিন লাগে তদন্ত করতে?
- আমার স্ত্রী নাকি সোনা পাচার করেছে। বিমানবন্দরে তো ৫০০ টা সিসিটিভি আছে। সেগুলো সব সিআইএসএফের অধীনে। ফুটেজ সামেন আনুক। আমার চ্যালেঞ্জ রইল।
- “পা থেকে মাথা পর্যন্ত মিথ্যা কথায় ভরা। কখনও বলেন অমিত শাহকে ফোন করা হয়েছে, কখনও বলেন পায়ে পড়েছি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ করলেই পিছিয়ে যান।”, শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ অভিষেকের।
- অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছি, সিআইএসএফ ফুটেজ প্রকাশ করুক। আমার স্ত্রী ২ গ্রাম সোনা এনেছে, দেখাক।
- তৃণমূল মানুষের স্বার্থে লড়াই করছে। ইডি-সিবিআই-এর ধমক চমক দিয়ে আটকানো যাবে না। যত দিন যাচ্ছে, ততই তৃণমূলে সমর্থন বাড়ছে। আমাকে আটকাতে পারছেন না, আমার স্ত্রীকে টানছেন, সন্তানদের টানছেন। মানুষ দেখছে। মানুষই এর জবাব দেবে।
- মা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরা। যাঁদের বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরির অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের কাছে সত্যের ভাষণ শুনব না।
- ১২ মাসে একটাও নোটিস এল না, আর নবজোয়ার শুরু হতেই কখনও কয়লা, কখনও এসএসসি মামলায় নোটিস আসছে।
- ৬ মাস আগে চোখের অস্ত্রোপচার করাতে বিদেশে গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। তখন তাঁকে আটকানো হল না কেন!
- এসএসসি-তে পার্থর থেকেও বড় সুবিধাভোগী শুভেন্দু। দালাল লাগিয়ে টাকা তুলেছেন শুভেন্দু।
- আমি কবার বাইরে গিয়েছি, সেই তথ্য শুভেন্দুর কাছে কীভাবে গেল? আমার আর ইডির মধ্যেকার বিষয়। প্রমাণ থাকলে কোর্টকে দিন।
- স্ত্রীকে নোটিস দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারকে ভায়োলেট করা হয়েছে। কোর্ট খুললেই আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।
- আমাকে গ্রেফতার করে আমার বয়ানটা কোর্টে জমা দিন। আমি যে সব দালালদের নাম দিয়েছি, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ পূর্ব মেদিনীপুরের আর মুর্শিদাবাদ জেলার।
- পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কাল বিজেপিতে চলে যান, তাহলে তাঁরা ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যাবেন।