
ধূপগুড়ি: প্রায় বারো বছর ধরে ঘরছাড়া ছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ লড়াই। আর তারপর আদালতের নির্দেশে ফের নিজের বাড়ি ফিরে পেলেন মালিকা। ধূপগুড়ি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পাড়ার বাসিন্দা মধুসূদন চক্রবর্তী। দীর্ঘ ১২ বছর পর অবশেষে নিজের বাড়িতে ফিরে এলেন। বাড়িটি ভাড়া দেওয়ার পর ভাড়াটিয়ার জবরদখলের কারণে তিনি দীর্ঘ সময় গৃহহীন ছিলেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৩ সালে। মধুসূদন চক্রবর্তী তাঁর বাড়িটি বৈদ্যনাথ প্রসাদ শাহ-কে ছয় মাসের জন্য ভাড়া দেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ভাড়াটিয়া বাড়িটিকে নিজের দাবি করে বসে থাকেন। বারবার বাড়ি খালি করার অনুরোধ করলেও তা উপেক্ষা করেন বৈদ্যনাথ শাহ। পাড়ার লোকজন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক এবং আলোচনার পরও সমস্যা সমাধান হয়নি।
দীর্ঘ সময় ভাড়া বাড়িতেই আশ্রয় নেওয়ার পর মধুসূদন চক্রবর্তী আদালতের দ্বারস্থ হন। ১২ বছর ধরে চলা মামলার পর আদালতের নির্দেশে পুলিশ উপস্থিতিতে ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করা হয়।অভিযোগকারী বাড়ির মালিকের আইনজীবী এবং ধূপগুড়ি থানার আইসি সহ জেলার বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের সহায়তায় বাড়িতে প্রবেশের সময় মধুসূদন চক্রবর্তী ও পরিবারের সদস্যদের মুখে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের হাসি।
ভাড়াটিয়া বৈদ্যনাথ প্রসাদ শা জানান, “২০০৩ সাল থেকে আমি বাড়িতে থাকি। তখন ভাড়া ছিল ৪০০ টাকা। এলাকার সবাইকে নিয়ে বসাবসীও হয়েছিল। পরে মালিকের অনুরোধে হাইকোর্টে মামলা চলতে থাকে। আজ পুলিশ ও মালিকের উপস্থিতিতে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক দত্ত বলেন, “দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এই সমস্যা চলছিল। বহুবার বৈঠক হলেও ভাড়াটিয়া মানেননি। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে মালিক ও পুলিশ উপস্থিত হয়ে বাড়িটি পুনরায় দখল করেন।”
মধুসূদন চক্রবর্তী নিজেই বলেন, “প্রথমে ছয় মাসের জন্য বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটিয়া দীর্ঘ সময় ধরে নিজের দাবি করে বসে ছিলেন। আইনের মাধ্যমে যুদ্ধে জয়ী হয়ে আজ আমরা নিজের ঘরে ফিরে পেয়েছি। পুলিশের সহায়তায় অবশেষে বাড়ি ফিরে পাওয়ার খুশি অসীম।”