Piyali Basak : এভারেস্টের পর আরও দুই ৮ হাজারি শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে অভিযান, পিয়ালীর নজরে এবার ‘ডেডলিয়েস্ট’ অন্নপূর্ণাও

Ashique Insan | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 16, 2023 | 11:20 PM

Piyali Basak : কিছুদিন আগে এভারেস্ট জয় করে গোটা দেশের নজর কেড়েছিলেন চন্দনগরের পিয়ালি। সামান্য কিছু রাস্তা বাদে গোটা পথই অক্সিজেন ছাড়া উঠেছিলেন তিনি।

Piyali Basak : এভারেস্টের পর আরও দুই ৮ হাজারি শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে অভিযান, পিয়ালীর নজরে এবার ‘ডেডলিয়েস্ট’ অন্নপূর্ণাও
পিয়ালী বসাক

Follow Us

চন্দননগর : এভারেস্টের পর আরও দুই আট হাজারি শৃঙ্গ জয় করতে বেরিয়ে পড়লেন পাহাড় কন্যা পিয়ালী (Piyali Basak)। কৃত্তিম অক্সিজেন ছাড়াই পৃথিবীর দশম উচ্চতম শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা (৮০৯১ মিটার ) ও পৃথিবীর পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালু (৮৪৮১ মিটার) জয়ের লক্ষ এবার পিয়ালীর। এর আগে এভারেস্ট জয় (Everest victory) করেছেন কোনও বড় কর্পোরেট বা সরকারি সাহায্য ছাড়া। এবারও সাহায্য মেলেনি। কিন্তু, আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যেও থেমে থাকছে না তাঁর পর্বতারোহণ। এবারের অভিযানে প্রয়োজন ৩১ লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত পিয়ালীর হাতে এসেছে তিন লাখের মতো। ডিভিসি পাঁচ লাখ টাকা দেবে বলেছে বলে জানা যাচ্ছে। বাকি টাকার অনিশ্চয়তা নিয়েই বৃহস্পতিবার বিকালে চন্দননগর স্টেশন থেকে রক্সৌল মিথিলা এক্সপ্রেসে রওনা দিলেন পিয়ালী। শুক্রবার পৌঁছানোর কথা নেপাল। আগামী ১৯ মার্চ পর্বতারহণ শুরু করার কথা রয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালে কৃত্তিম অক্সিজেনে ছাড়াই ধৌলাগিরি জয় করেছেন। ২০২২ সালে একইভাবে এভারেস্টের খুব কাছে পৌঁছে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তুষার ঝড়ের জন্য ৮৪৯০ মিটারের পর অক্সিজেন নিতে হয়েছিল। চন্দননগর কাঁটাপুকুর এর বাসিন্দা পিয়ালী বসাক জানাচ্ছেন, বাবার হাত ধরে প্রথমে পাহাড়ে ঘুরতে যান তিনি। তারপর থেকেই পাহাড়ে চড়ার নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। চন্দননগর বিভিন্ন পর্বতারোহণ সংস্থার সাহায্যে পর্বতারোহণ শুরু করেন। পিয়ালি বলেন, আমার আশা আবহাওয়া যদি সঙ্গ দেয় নিশ্চিত মাকালু ও অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করব। একমাস ধরে অভিযান চলবে। পাহাড়ে তুষার ঝড় তো চলবে। কিন্তু, যেটাকে ওয়েদার উইন্ডো বলে সেই সময় হয়তো চার-পাঁচটা দিন পাওয়া যায়। সেই সময়ের মধ্যে শৃঙ্গ জয় করে নেমে আসতে হবে।”

পিয়ালির মা স্বপ্না বসাক বলেন, “মেয়ে যাওয়ার সময় চিন্তা হলেও আশা করব সামিট শেষ করে ফিরবে। এটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা যাঁরা করে তারাই জানে। বেস ক্যাম্প পর্যন্ত যোগাযোগ থাকলেও পরবর্তীতে আর যোগাযোগ থাকে না। তারপর সামিট করলে জানা যায় এজেন্সির মারফত। তবে, এজেন্সিকে সময় মতো টাকা মেটানো নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে।” প্রসঙ্গত, অন্নপূর্ণা শৃঙ্গকে পৃথিবীর সবথেকে বিপদসংকুল পিক বলা হয়। যার প্রতি পদে পদে বিপদ। যদিও বিপদ কাটিয়ে, আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পিয়ালী আবার পর্বত জয় করবে বলে আশাবাদী তাঁর পরিবার থেকে শুভানুধ্যায়ীরা।

Next Article