আরামবাগ: মহিলা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের মারধরের অভিযোগ উঠল হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এমনকি রোগীর হাতের স্যালাইনও ছিঁড়ে যায় বলে অভিযোগ। ঝামেলায় ভয় পেয়ে হাসপাতাল থেকে নিজেই বেরিয়ে পড়েন রোগী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্নপূর্ণা ঘোষ নামে পূর্ব বর্ধমানের এক বাসিন্দা আরামবাগ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক একটি ওষুধ লিখে দেওয়ায়, সেই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে বাইরে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। রোগীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা। অভিযোগ, হাসপাতালের এক শ্রেণির কর্মী এসে রোগীর মাকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তা নিয়েই ঝামেলা শুরু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর আত্মীয়ের ওষুধ কিনে ফিরতে দেরি হচ্ছিল। এদিকে, রাত আটটা বেজে যাওয়ায় ‘ভিজিটিং আওয়ার্স’ও শেষ হয়ে গিয়েছিল। রোগীর মা বের হতে চাইছিলেন না। জামাই ওষুধ কিনে আনার পরও বের হবেন বলে দাবি করেছিলেন। তা নিয়েই সমস্যা।
অন্নপূর্ণ মায়ের বক্তব্য, তিনি জানিয়েছিলেন, জামাই ওষুধ নিয়ে আসার পর তাঁরা বেড ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তাঁরা তা শোনেননি। অভিযোগ, সাধারণ পোশাকে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি হাসপাতালের মধ্যে হম্বিতম্বি করতে থাকেন। এর ফলে ভয়ে অন্নপূর্ণা ও তাঁর মা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরামবাগ থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে বুধবার রাতেই থানায় অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল কর্মীদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
আরামবাগ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সামনে সাধারণ পোশাকে কারা এই কাণ্ড ঘটালেন? উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে, যদি অভিযুক্তরা হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মী হন, তাহলে তাঁদের ইউনিফর্ম কোথায়? তাহলে কি হাসপাতালে দালালচক্র সক্রিয়? উঠছে সেই প্রশ্নও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, যথাযথ বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণও করা হচ্ছে বলে খবর।