হুগলি: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার অয়ন শীলের (Ayan Sil) সল্টলেকের বাড়ি থেকে গাদা গাদা ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অয়নের যোগ খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। তারপর থেকেই কীর্তিমান অয়নের বিষয়ে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। দেখা যাচ্ছে, তিনি শুধু প্রোমোটারই নন, আরও অনেক গুণই রয়েছে। সিনেমায় টাকা ঢেলেছেন, সিরিয়ালের কাজও করেছেন। আবার হোটেল ব্যবসাতেও হাত পাকাচ্ছিলেন। এদিকে অয়নের কারবার যত প্রকাশ্যে আসছে, ততই উঠে আসছে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগও। বহু মানুষের বহু অভিযোগ। অনেক কীর্তিই রয়েছে গুণধর অয়নের। অভিযোগ উঠছে, অনেকের থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা নাকি আর ফেরতই দেননি অয়ন। হুগলির রাস্তাঘাট কান পাতলে এমন অনেক কীর্তির কথাই উঠে আসছে।
অয়নের হুগলির বাড়ির প্রতিবেশী বলরাম দাস। কেটারিং ব্যবসা রয়েছে তাঁর। বছর তিনেক আগে ছেলের জন্মদিনের জন্য প্রতিবেশী বলরামকে কাজ দিয়েছিল অয়ন। বলরামবাবু জানাচ্ছেন, ১ লাখ ১২ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছিল। কাজের আগে মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল অয়ন। বাকি ৯২ হাজার টাকা আর দেয়নি। বলরামবাবু বলছেন, বার বার চাওয়ার পরেও সেই টাকা আর পাননি তিনি।
অয়ন শীলের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ভালই ছিল বিশ্বনাথ মোদকের। অয়নকে বিশ্বাসও করতেন বিশ্বনাথ। একটি প্রোজেক্টের জন্য অয়নের কথায় বিশ্বাস করে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিশ্বনাথ মোদক। তাঁর অভিযোগ, অয়ন লিখিত দিয়েছিল যে বাৎসরিক ১২ শতাংশ হার সুদে সেই টাকা ফেরত দেবে। কিন্তু সেই সুদ তো দূরে থাক, ২০ লাখ টাকারই সম্পূর্ণটা ফেরত পাননি বিশ্বনাথবাবু। বলছেন, সতেরো লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। বাকি তিন লাখ টাকা এখনও পাননি। একাধিকবার বলার পরও সেই টাকা দেয়নি অয়ন। বিশ্বনাথবাবুর দাবি, ইচ্ছা করে সেই টাকা দিচ্ছিল না।
শোনা যায় ব্যান্ডেলের এক তৃণমূল নেতার মারফত চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই কোটি টাকারও বেশি তুলেছিল অয়ন। কিন্তু পরে প্রতিশ্রুতি মতো কাজ হয়নি। এমন অবস্থায় ২০১৮ সালে ওই তৃণমূল নেতা নিজের ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছিলেন ওই নেতা।