হুগলি: বাড়িতে স্ত্রী রেখে পাড়ার মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক! অশান্তি চরমে উঠতেই দুই সন্তানের সামনে মাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ। বাবার বিরুদ্ধে ৬ বছর বয়সেও সাক্ষী হিসাবে আদালতে গিয়েছিল। ২০১৫ থেকে জেলেই ছিল বাবা। অবশেষে দোষী সাব্যস্ত। এখন ছেলের বয়স ১৩। ফের সাক্ষী হিসাবে হাজির আদালতে। ২০০৬ সালে ধনিয়াখালির চক-সুলতান গ্রামের সাবিনা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় জামাইবাটি কাপগাছি গ্রামের বাসিন্দা সেখ নজিবুলের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুরুতে সব ঠিকঠাক থাকলেও কিছু বছরের মধ্যেই বাড়তে থাকে সমস্যা। শোনা যায়, এরইমধ্যে এলাকারই এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন নজিবুল। যা নিয়ে বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে বাড়তে থাকে ঝামেলা। ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট অশান্তি চরমে ওঠে। ওইদিন রাতে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে নজিবুলের বিরুদ্ধে। পুরো ঘটনাই ঘটে সন্তানদের সামনে। ছয় বছরের ছেলে সাহিল বাবাকে বাধা দিতে গেলেও বাবার রণংদেহি মূর্তির সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি ছোট্ট ছেলেটা।
সাবিনার বাবা মতিয়ার রহমান ধনিয়াখালি থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। গ্রেফতার হয় নজিবুল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮/এ, ৩০২, ২০১ ধারায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর চার্জশিট দেয় পুলিশ।
২০২২ সালের ১২ এপ্রিল বিচারকের কাছে বাবার বিরুদ্ধে গোপন জবানবন্দি দেয় ছেলে। মোট ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। অবশেষে দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্ত। বুধবার হুগলি জেলা আদালতের তৃতীয় অ্যাডিশনাল সেশন জাজ কৌস্তভ মুখোপাধ্যায় নজিবুলকে দোষী সাব্যস্ত করেন। যদিও এখনও নিজের দোষ মানতে নারাজ নজিবুল। বৃহস্পতিবার হতে পারে সাজা ঘোষণা।