চুঁচুড়া: তৃণমূলের কর্মসূচিতে বাস না দেওয়ায় বাস স্ট্যান্ডে গাড়ি না ঢুকতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এবার। তারকেশ্বরের ঘটনা। বিধায়ককে নিয়েও অভিযোগ বাস মালিকদের। প্রতিবাদে সরব আইএনটিটিইউসির সদস্যরা। সমস্যা না মিটলে মঙ্গলবার থেকে বাস এবং ট্রেকার বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাস মালিকরা।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
চুঁচুড়া থেকে ১৭ ও ২৩ নম্বর রুটে বাস চলে তারকেশ্বর পর্যন্ত। ১৭ নম্বর রুটের বাস চুঁচুড়া থেকে ছেড়ে চুঁচুড়া স্টেশন, আলিনগর, মহেশ্বরপুর, ধনিয়াখালি হয়ে তারকেশ্বরে যায়। ২৩ নম্বর রুটের বাস চুঁচুড়া থেকে মগড়া, মহানাদ, গুড়াপ, দশঘড়া হয়ে তারকেশ্বরে যায়।
অভিযোগ, গত ৩১ অগস্ট তারকেশ্বর ব্লকে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেখানে কয়েকটি বাস দিতে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, বদলে ১২০০ বা ১৩০০ টাকা করে ভাড়া দেওয়ার কথা বলেছিল। বাস ইউনিয়নের দাবি, এই টাকায় কোনওভাবেই বাস ভাড়া দেওয়া সম্ভবপর নয়। সেটাই বলা হয়েছিল। এমনও বলা হয়, এই টাকায় ভাড়া দিলে পকেট থেকে টাকা দিয়ে তেল ভরতে হবে।
অভিযোগ, পাল্টা তৃণমূলের তরফে বলা হয়, বাস না দিলে বাস বন্ধ রাখতে হবে। সেইমতো রবিবার বাস বন্ধ রাখেন মালিকরা। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দুসিংহ রায়। অভিযোগ, সোমবার ১৭ ও ২৩ নম্বর রুটের কোনও বাস ঢুকতে দেওয়া হয়নি তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ডে। রাস্তা থেকে যাত্রী ওঠানো নামানোতেও বাধা দেওয়া হয়। বাসকর্মীরা হুমকির মুখে পড়েন। বাধ্য হয়ে হুগলি আরটিওর কাছে অভিযোগ জানায় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। তারা নিরাপত্তার অভাবে বাস বন্ধ করে দেন।
সবথেকে বড় কথা, অভিযোগে সোচ্চার যারা, তারা শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন করে। তারপরও এ হেন অভিযোগ। যদিও তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তিনি কাউকে বাধা দেননি। বরং তাঁর দাবি, তিনি কলকাতায় ছিলেন।