Hooghly: চুঁচুড়ায় অ্য়াম্বুল্যান্স, শববাহী যান, জলের গাড়ি সব বন্ধ, কেন?
Hooghly: বেতন যে আসেনি তা মেনে নিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু, এখন আচমকা কাজ বন্ধ করে দিলে বাকি বেতন পেতেও সমস্যা হতে পারে বলে তাঁর মত।
হুগলি: মেলেনি বেতন। কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদের রাস্তায় হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার গাড়ি চালকরা। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শববাহী গাড়ি, জলের গাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহের গাড়ি, কোনও চালকই চলতি মাসে কোনও বেতন পাননি বলে অভিযোগ। তাতেই ক্ষোভ দানা বাঁধছিল চালকদের মনে। এদিকে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভায় পঞ্চাশ জনের বেশি চালক রয়েছে। প্রত্যেকের কাঁধে রয়েছে নিজ নিজ দায়িত্ব। কিন্তু, মাইনে না পেলে তাঁরা কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি আগে থেকেই দিয়ে আসছিলেন। এদিনও এ নিয়ে পুর প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে যান। সূত্রের খবর, সেখানেও দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা বেধে যায়। তখনই বেতন না পেলে গাড়ি চালাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় চালকদের অনেককে।
এদিকে বেতন যে আসেনি তা মেনে নিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু, এখন আচমকা কাজ বন্ধ করে দিলে বাকি বেতন পেতেও সমস্যা হতে পারে বলে তাঁর মত। যদিও আন্দোলনকারী চালকদের অভিযোগ, এটা নতুন নয়। প্রায়ই বেতনের জন্য তাঁদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। তারপর আসছে বেতন। হুগলির আর কোনও পুরসভায় এই ছবি দেখা যায় না বলে তাঁদের দাবি।
যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলছেন, বেতন ঠিক সময়েই আসে। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে মাইনে অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। এবার একটু দেরি হলেও বেতন এসে যাবে। তবে কোনওভাবে চালকদের হুঁশিয়ারিকে মান্যতা দেওয়া হবে না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বলছেন, কেউ কাজ করতে না চাইলে অন্য ড্রাইভার দিয়ে কাজ হবে। এসব মানা হবে না। অন্যদিকে পুরসভার তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বিনোদ হরিজনও স্পষ্ট বলছেন, তাঁরা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনের পক্ষে নেই। কেউ কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করতে চাইলে করতে পারে, সেটা ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত নয়। তবে তিনি এও জানাচ্ছেন, মঙ্গল-বুধবার বেতন হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারম্যান।