
বাঁশবেড়িয়া: এসআইআর-এর কাজের মাঝেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও এক বিএলও। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে চুঁচুড়া থেকে কল্যাণীতে রেফার করা হয়েছে। হুগলির বাঁশবেড়িয়ার ঘটনা। বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আবু তোহরাবকে। তাঁর দাবি, কাজের চাপ ছিল খুব। তিনি বারবার বলেছিলেন যে তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও তাঁকে শোকজ করার ভয় দেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওই ব্যক্তির।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪৮ নম্বর বুথের বিএলও আবু তোহরাব বিন আমান। রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বুকে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা সোমবার তাঁকে কল্যাণী গান্ধী হাসপাতালে রেফার করেন।
আবু তোহরাব বাঁশবেড়িয়ার আইএম হাই মাদ্রাসার প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষক। তিনি শারীরিক অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও এসআইআ-এর দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরিবারের দাবি, নির্বাচনের কাজের প্রচণ্ড চাপের কারণে তিনি গত কয়েকদিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর মহম্মদ শহীদ বলেন, “বিএলও-র পরিবারের কাছ থেকে খবর পাই যে হঠাৎই শরীর খারাপ হয়ে যায়। শারীরিক অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও তিনি অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে কাজ করছিলেন। বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।”
অসুস্থ শিক্ষকের কাকা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক এবং উচ্চমানের চিকিৎসা দরকার। বাড়িতে তাঁর দুই কন্যা সন্তান এবং বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন,সবাই গভীর উদ্বেগে। স্থানীয় কাউন্সিলর এবং তাঁর সহযোগীরা পরিবারকে সাহায্যের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, রবিবারই শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন বিএলও দের উপর অসম্ভব চাপ দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে অনেকে আত্মহত্যা করেছেন, অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছিলেন কল্যাণ।