Arambag: গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কিছুদিন বাপেরবাড়িতে এসে থাকছিলেন বউ, তর সইল না বরের! ওই অবস্থাতেই ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে ঘৃণ্য কাজ! ঢি পড়ল গ্রামে
Arambag: কয়েক বছর আগে মাদারচকের সেখ মাসুদের সঙ্গে আরামবাগ শহরের ১৪নম্বর ওয়ার্ডের জমাদার পাড়ার বাসিন্দা শেখ হাসনাৎ আলির মেয়ে সাবেরার বিয়ে হয়। শেখ মাসুদ কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন।
আরামবাগ: জামাই থাকেন বাইরে। মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ভালই থাকত। সেরকম কোনও অভিযোগ আগে শোনেননি পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হন। বাপেরবাড়ি এসেও বেশ কিছুদিন কাটিয়ে যান। জামাই এসে ফিরিয়েও নিয়ে যান তাঁকে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পরই বাড়িতে আসে দুঃসংবাদ। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই গৃহবধূ ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন, সে নিয়েই ধোঁয়াশা। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা আরামবাগের মাদারচক এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধুর নাম সাবেরা খাতুন(২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে মাদারচকের সেখ মাসুদের সঙ্গে আরামবাগ শহরের ১৪নম্বর ওয়ার্ডের জমাদার পাড়ার বাসিন্দা শেখ হাসনাৎ আলির মেয়ে সাবেরার বিয়ে হয়। শেখ মাসুদ কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন।
মৃত গৃহবধূর পরিবারের দাবি, চার মাসের অন্ত্বঃসত্তা হওয়ায় গত কয়েকদিন তিনি বাপের বাড়িতেই ছিলেন। গত মঙ্গলবার মাসুদ মাদারচকে দেশের বাড়িতে ফেরেন। তারপর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাবেন বলে আসেন। বুধবার সকালে তাঁর পরিবারের লোকজন মেয়ের প্রতিবেশীদের সূত্রে জানতে পারেন যে, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান তাঁরা।
যদিও মেয়ের শশুরবাড়ির লোকজন ততক্ষণে পলাতক। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আরামবাগ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে এই মুহূর্তে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু করেছে পুলিশ।