Arambag: ১২০০-র মাল বিকোচ্ছে ৩৫০০তে! অঘ্রাণের এক রাতেই কারোর কপালে সুখ, কারোর সর্বনাশ

Tanmoy Bairagi | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 08, 2023 | 1:53 PM

Arambag: এ সবের মধ্যেও পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন একদল অসাধু ব্যবসায়ী।  আলু বীজের দাম প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন এক দল ব্যবসায়ী। ফলে চাষিরা যে নতুন বীজ বপন করবেন, তাঁদের ১২০০ টাকার বীজ ৩৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। 

Arambag: ১২০০-র মাল বিকোচ্ছে ৩৫০০তে! অঘ্রাণের এক রাতেই কারোর কপালে সুখ, কারোর সর্বনাশ
আলুর বীজে কালোবাজারির অভিযোগ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আরামবাগ:  ১২০০ টাকার আলু বীজ, এক রাতে ৩৫০০ টাকার বেশি দাম। ভরা অঘ্রাণে সর্বনাশ চাষিদের, কারণ মাঠেই  এখন জলের তলায় তাঁদের শত কষ্টের ফসল। ঋণ নিয়ে, মাথার ঘাম মাঠে ফেলে যে ফলন বুনেছিলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে তা শেষ হয়েছে সব। আর এসবের সুযোগ নিয়েই একদলের কালোবাজারির অভিযোগ।  আলু  বীজ নতুন করে বুনে ঘরে দুটো অন্ন আনতে চাইছেন চাষিরা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নতুন করেই বীজ নিয়ে কালোবাজারি করছেন বলে অভিযোগ। নজরদারি কোথায়? উঠেছে প্রশ্ন। হুগলির গোঘাটে কামারপুকুরে ক্ষোভে ফুঁসছেন আলু চাষিরা।  গোঘাটের কামারপুকুরে আলু বীজের দাম রাতারাতি তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে । চাষিদের অভিযোগ, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রীতিমতো লুটে নিচ্ছেন এক দল ব্যবসায়ী। আলু বীজে কালোবাজারির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিদের। আলু চাষিদের দাবি,  দু’দিন বৃষ্টি হল আর আলু বীজের দাম ১২০০ টাকা থেকে লাফিয়ে এক রাতে ৩৫০০ টাকা ও বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

বৃষ্টির জলে মাঠেই নষ্ট হয়েছে আলু বীজ। ফসন তাঁরা ঘরে আনতেই পারেননি।  শুধু আলু নয়,  মাঠে নষ্ট হয়েছে ধানও। লাভের মুখ তো দুরস্ত, ঘরে খাবার জুটবে কীভাবে, সেই চিন্তাতেই রাতের ঘুম ছুটেছে চাষিদের। বেশিরভাগ চাষিই সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন। সেই বোঝাও তাঁদের মাথায় রয়েছে।

কিন্তু এ সবের মধ্যেও পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন একদল অসাধু ব্যবসায়ী।  আলু বীজের দাম প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন এক দল ব্যবসায়ী। ফলে চাষিরা যে নতুন বীজ বপন করবেন, তাঁদের ১২০০ টাকার বীজ ৩৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
আলু বীজ চড়া দামে কেন বিক্রি হচ্ছে,  এক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারিটাই বা কোথায়, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাষিরা।

কালোবাজারি  নিয়ে প্রশ্ন করতেই ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই মুখে কুলুপ এঁটেছেন।  ক্যামেরা দেখে অনেক ব্যবসায়ীকে দোকান ছেড়ে পালাতেও দেখা গিয়েছে। বীজ আলুর গোডাউনের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে পাহারা দিচ্ছেন চাষিরা। এক চাষি বলেন. “গত পরশু বীজ নিয়েছিলাম ১৩৫০ টাকায়, আজ থেকে তিন হাজার টাকার ওপর। গোডাউনে বীজ রয়েছে। কিছু বস্তা সরিয়ে দিয়েছে আসলে চাহিদা তৈরি করতে চাইছে। কালোবাজারি করতে চাইছেন। যাতে চড়া দামে বিক্রি করতে পারে। আসলে আমরা বীজ বুনেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাই আবার এসেছিলাম কিনতে।”

যদিও কালোবাজারির অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা। এক গোডাউনের মালিক বলেন, “আমাদের চালান দেখলেই বোঝা যাবে, ১০০ টাকার লাভ নেই বস্তায়। যা দামে কিনেছি, তাতেই দেব। বৃষ্টি থামলেই মাল দেব। এখন মাল দেব না। বৃষ্টি থামলে কেনা দামেই মাল দেব। কারণ বৃষ্টিতে বীজ আবারও পচলে আমারই দুর্নাম হবে।”

Next Article