খানাকুল: বৃদ্ধ হয়েছেন। রয়েছে চার মেয়ে। পুত্র সন্তান নেই। সেই কারণে যত সম্পত্তি রয়েছে তা লিখে দিতে হবে ভাইয়ের নামে। তবে রাজি ছিলেন না বৃদ্ধ। শেষমেশ সম্পত্তি হাতাতে বৃদ্ধ দাদার মাথাতেই ধারাল অস্ত্রের কোপ ভাইয়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে।
হুগলির খানাকুলের কিশোরপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘাসুয়া এলাকার ঘটনা। সেখানে সম্পত্তি বিবাদের জেরে ধারাল অস্ত্রের কোপ ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে। ওই বৃদ্ধের অভিযোগ যে, তাঁর চার মেয়ে। কোনও পুত্র সন্তান নেই। তাই তাঁর যে সম্পত্তি রয়েছে সেটি তাঁর ভাই পঙ্কজ আদককে লিখে দিতে হবে। কিন্তু এতে বৃদ্ধ রাজি ছিলেন না বৃদ্ধ। অভিযোগ, এরপরই পঙ্কজ সহ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ও তৃণমূলের কিছু লোকজন প্রথমে মারধর করে ওই বৃদ্ধকে। পরে হুমকি দেয় তাঁকে। এরপর তার ভাই ধারাল অস্ত্রের কোপ দেয় মাথায়। বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয়।
অভিযোগ, ওই বৃদ্ধ যখন মাঠে জমিতে চাষ করার জন্য গিয়েছিলেন। তখনই অতর্কিতে তাঁর ভাই সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা আক্রমণ করে। স্থানীয় মানুষজন ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। পরে বৃদ্ধের মেয়েরা ও জামাইরা আসার পরেই আরামবাগ আদালতে অভিযোগ করবেন বলে জানান।
এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে । যদিও এই নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাইনি। আক্রান্ত বৃদ্ধের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার বিষয়ে আক্রান্ত বৃদ্ধ বলেন, ‘আহত বৃদ্ধ বলেন, ‘তোমাকে চাষ করতে দেওয়া হবে না। আমায় জোর করে জমি-বাড়ি লিখে দিতে হবে আমার মেজ ভাইকে। আমি দিতে চাইনি সেই জমি। তখন মারধর করে। আমার ভাই আর তৃণমূল পার্টির কয়েকজন লোক এই কাজ করছে একসঙ্গে মিলে।’