আরামবাগ: নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল চার কিশোর। ঘটনাটি আরামবাগের হরিণখোলা ২ পঞ্চায়েতের চাতরা এলাকার। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তার মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি দু’জনের খোঁজে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অসুস্থ একজনকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মনসা পুজো উপলক্ষে ওই এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল চার কিশোর। বুধবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মুণ্ডেশ্বরী নদীতে স্নান করতে নেমেছিল তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পাড় থেকে অনেকটা দূরে যায়নি চার কিশোর। কিন্তু আচমকাই স্নান করার সময় জলে তলিয়ে যায় তারা। সেসময়ে আশপাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নজরে বিষয়টি পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাই তড়িঘড়ি জলে নেমে তলিয়ে যাওয়া ৪ জনের মধ্যে ২ জনকে উদ্ধার করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাদের উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এখনও ডুবুরিরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। নদীতে কীভাবে চার কিশোর তলিয়ে গেল, আদৌ সেসময় জোয়ার এসেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে নদীতে স্নান করতে তলিয়ে গিয়েছিল তিন ভাইবোন। প্রথমে বোনকে তলিয়ে যেতে দেখেছিল দিদি। কোলে ভাইকে নিয়ে বোনকে বাঁচাতে গিয়েছিল সে। মর্মান্তিকভাবে তিনজনই জলে তলিয়ে যায়। পরে তাদের দেহ উদ্ধার হয়। সেই নদীতে ছিল হাঁটু জল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, অতিরিক্ত পরিমাণ বালি পাচারের কারণে নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। তাতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা।