
আরামবাগ: প্রতিশ্রুতি ছিল কংক্রিটের সেতু হবে। কিন্তু বাঁশের নতুন সেতু তৈরি করে ফুল মালা দিয়ে সাজিয়ে উদ্বোধন করেছেন বিধায়ক। পারাপারের জন্য নেওয়া হচ্ছে টোল। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া। বিজেপি পরিচালিত খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ধান্যঘোরি-বন্দর ফেরিঘাটের জন্য প্রায় ২১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার দরপত্র ওঠে কয়েক মাস আগেই। অভিযোগ বিধায়ক ঘনিষ্ঠ একজন নির্বাচিত হয়। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ ব-কলমে বিধায়কেরই ফেরিঘাট।
গত বুধবার বাঁশের সেতুতে ফুল দিয়ে সাজিয়ে বাজনা সহযোগে ফেরিঘাটের বাঁশের সেতুর উদ্বোধন করেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে টিপ্পুনি। যদিও বিধায়কের দাবি রাজ্য সরকার ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও ব্রিজ করেনি। আর তৃণমূলের দাবি বিধায়ক শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে। খানাকুলের মানুষ বুঝে গেছে বিধায়ক কত বড় ফেরেব্বাজ, তোলাবাজ। বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কংক্রিটের ব্রিজ করে দেব ফেরিঘাট গুলো ফ্রি করে দেব!
আর ফেরিঘাটগুলো থেকে টাকা লুট হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই টাকা ভাগ্যে কেন্দ্র করেই মারপিট মারধর ওদের নিজেদের মধ্যেই। আর এই নিয়ে বিধায়কের দাবি, তৃণমূল পাগলের দল উন্মাদ হয়ে গিয়েছে। আসলে এই ঘাটটার টেন্ডার হয়েছিল আগেই। টেন্ডার করেছে পঞ্চায়েত সমিতি। যারা টেন্ডারের সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছে তারা পেয়েছে। যারা টেন্ডার নিয়েছে, তারা সরকারের কোষাগারে টাকাটা জমা দিচ্ছে।
একদিকে হুগলির খানাকুলের ধান্যঘরি-বন্দর অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের হরিশচক মাঝে রূপনারায়ণ। রূপনারায়ণ নদীর উপর কংক্রিটের সেতু নেই। রূপনারায়ণের জল বাড়লে বাঁশের সেতু ভেঙে যায় প্রতিবছর। নতুন করে বাসের সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত খেয়া পারাপারই ভরসা দুই জেলার মানুষজনদের। কয়েক হাজার দুই জেলার মানুষ এই ফেরিঘাট দিয়েই টোলের টাকা মিটিয়ে যাতায়াত করেন। যদিও নির্দিষ্ট কত অংকের টাকা টোল দিতে হবে তার কোন তালিকা নেই।