
হুগলি: ভাই ভাইয়ে বিবাদ গড়াল রাজনীতিতে। আর সেই জেরে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষ , লুটপাট বাড়ি ভাঙচুর ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ। সংঘর্ষের জেরে উভয় পক্ষের মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জেরে গুরুতর জখম ছোট ভাই তথা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-সহ মোট সাত জন তৃণমূল কর্মী। অপর দিকে তিন জন আহত হয়েছেন বিজেপির। পালটা অভিযোগ তাঁরই বড় ভাই তথা বিজেপির কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আর তাতেই আগুন ছড়িয়ে গিয়ে তাঁর বসত বাড়ির একাংশও পুড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।আহত পঞ্চায়েত সদস্য কে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু কেন ভাইয়ে ভাইয়ের বিবাদ গড়াল রাজনীতি পর্যন্ত? আরামবাগের বাতানলের চকজালাল একাকার রায় পরিবারের ছোট ভাই উজ্জ্বল রায়। স্থানীয় বাতানল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। আর তাঁরই বড় ভাই বিকাশ রায় বিজেপির কর্মী। তাঁদের যাতায়াতের জন্য পঞ্চায়েত থেকে উভয় পক্ষের কিছুটা জায়গা নিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই সিদ্ধান্ত না মেনে বিজেপির কর্মী বিকাশ রায় সেই রাস্তার মাটি কেটে জমিতে ধান রুইয়ে দেন। আর তার প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের সদস্য তথা ছোট ভাই উজ্জ্বল রায়। তাতেই বিকাশ তার দল বল নিয়ে উজ্জ্বলের ওপর আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ।
তাতে তিনি সহ মোট সাত জন মারাত্মক ভাবে জখম হন। এর পরেই পরিস্থিতি জটিলাকার ধারণ করে। অভিযোগ, যে উজ্জ্বলের দল বল পালটা আক্রমণ করে বিকাশের বাড়িতে। তাতে তিন জন আহত হন। অভিযোগ তাঁর খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির একাংশও ভাঙচুর চালায়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ঘটনার জেরে এলাকা এখনও থমথমে। এই ঘটনায় অবশ্য তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, এটা নিতান্তই পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।