Bus Strike: তোলাবাজি রুখতে ধর্মঘট, নিজেদের পেটে লাথি মেরেও এই পথে হাঁটতে চলেছেন বাস মালিকরা

Tanmoy Bairagi | Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 17, 2023 | 2:37 PM

Bus Strike: বাস মালিকপক্ষের দাবি লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে বাস চালিয়ে কোনওদিন টাকা পান, কোনওদিন টাকা পান না। খরচই তুলতে পারেন না বেশিরভাগ সময়। চরম উদ্বেগের ছবি আরামবাগ বাস টার্মিনালে। তোলাবাজদের জোর-জুলুমে অতিষ্ঠ বাস মালিকরা।

Bus Strike: তোলাবাজি রুখতে ধর্মঘট, নিজেদের পেটে লাথি মেরেও এই পথে হাঁটতে চলেছেন বাস মালিকরা
পুজোর মুখে ধর্মঘটে বাড়ছে উদ্বেগ
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

আরামবাগ: তোলাবাজির জন্য বন্ধ হতে চলেছে বেশ কয়েকটি রুটের বেসরকারি বাস পরিষেবা। বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাপানো হয়েছে পোস্টার। পুজোর মুখে রুটি- রুজি অনিশ্চিত পরিবহণ কর্মীদের। উদ্বেগ আরামবাগে। আরামবাগের সঙ্গে সরাসরি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার গণপরিবহনের বাস বন্ধ হলে একদিকে যেমন সমস্যায় পড়বেন সাধারণ যাত্রীরা। অন্যদিকে রুটি রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে বাস কর্মীদের। ইতিমধ্যেই আরামবাগ মহকুমা শাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও তৃণমূল ভবনে 

তোলাবাজির অভিযোগ জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠন। বলা হয়েছে ধর্মঘটের কথাও। দেওয়া হয়েছে পোস্টার। তাতে লেখা, ‘আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিক ইউনিয়নের তোলাবাজির প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত যাত্রী পরিষেবা বন্ধ থাকবে।’ বাস কর্মী থেকে মালিক সকলেই বলছেন পরিস্থিতি না স্বাভাবিক না হলে ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটা ছাড়া কোনও উপায় তো নেই। 

বাস মালিকপক্ষের দাবি লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে বাস চালিয়ে কোনওদিন টাকা পান, কোনওদিন টাকা পান না। খরচই তুলতে পারেন না বেশিরভাগ সময়। চরম উদ্বেগের ছবি আরামবাগ বাস টার্মিনালে। তোলাবাজদের জোর-জুলুমে অতিষ্ঠ বাস মালিকরা। দক্ষিণবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ আরামবাগ শহর থেকে প্রায় ১৭ টি এক্সপ্রেস রুটে বাস চলাচল করে। তার সঙ্গেও আরামবাগ মহকুমায় ১৮০ টিরও বেশি লোকাল গাড়ি চলে। ৩০০ থেকে ৩৫০ টি বাস প্রতিদিন আরামবাগ থেকে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি কলকাতা , বাঁকুড়া পুরুলিয়া সহ দুই মেদিনীপুরে যাতায়াত করে। প্রায় দুই হাজার বাস কর্মচারী গণপরিবাহনে যুক্ত। তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে পুজোর মুখে যদি বাসমালিরা ধর্মঘটে সামিল হন তাহলে গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত দুই হাজার শ্রমিকের রুটি রুজিতে টান পড়বে। এর দায় কে নেবে? উঠছে সেই প্রশ্ন। কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতারা।

এক বাস কর্মী বলছেন, “শুধু মালিকরা নয়, আমাদেরও পেটে লাথি পড়ছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। প্রশাসন কোনও উদ্যোগ না নিলে অবস্থা আরও খারাপ হবে। তাই আমরা চাইছি ধর্মঘট হোক। আর এখন তো টোটোর দৌরাত্ম্য খুব বেড়ে গিয়েছে। ওদের না ঠেকালে আমাদের যাত্রী হওয়া মুশকিল। আমাদেরই তো চলছে না যা অবস্থা। হিসাব করে দেখছি যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে মালিক তো কিছুই থাকছে না।” 

Next Article