হুগলি: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার অয়ন শীলের (Ayan Sil) গ্রেফতারির পর থেকেই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে তাঁর বিষয়ে। নাম জড়িয়েছে অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীরও (Sweta Chakarborty)। বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছে দুইজনকে। ‘গুণধর’ অয়নের কীর্তি রয়েছে অনেক। প্রোমোটারি থেকে শুরু করে সিনেমা, হোটেল ব্যবসা… অনেক জায়গাতেই হাত পাকিয়েছিল। শুধু তাই নয়, চাকরিও করতেন তিনি। এবার জানা যাচ্ছে, বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করতেন অয়ন। আর সেখানে কাজ করতেন বান্ধবী শ্বেতাও। নৈহাটির বাসিন্দা শ্বেতা ওই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে একশো দিনের কাজের স্কিল টেকনিক্যাল পার্সন হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকেই দুইজনের পরিচয়।
অয়ন ও শ্বেতার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে গেলে আরও সব তথ্য উঠে আসে অয়ন ও শ্বেতার বিষয়ে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, শ্বেতা নাকি অয়নের গাড়িতেই যাতায়াত করতেন। কিন্তু অফিসে আসার ক্ষেত্রে বেশ ঢিলেমি ও অনীহা ছিল অয়নের। এমন অনিয়মিত অফিসে আসার ফলে অনেকক্ষেত্রেই পঞ্চায়েতের কাজে সমস্যা হত। এমনও হয়েছে, দিনের পর দিন অয়নের মুখ অফিসে দেখা যায়নি, কিন্তু সময়মতো ঠিক বেতন তুলে নিয়েছেন। এই নিয়ে পঞ্চায়েতের তরফে বলাগড়ের বিডিওকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ জানানো হয়েছিল অয়নের বিরুদ্ধে। তাঁকে যাতে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, সেই আবেদন করা হয়েছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে বিডিও শোকজও করেছিলেন অয়নকে।
এদিকে শ্বেতারও বদলির নির্দেশ আসে। নিত্যানন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সোমরা বাজার পঞ্চায়েতে পাঠানো হয় শ্বেতাকে। যদিও সেখানে কাজে যোগ দেননি তিনি। জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতের কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন অয়নের বান্ধবী। যদিও তারপরও কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন অয়ন। বান্ধবী কাজ ছাড়ার দুই বছর পর ২০২০ সালে অয়নও কাজ ছেড়ে দেন বলে জানা যাচ্ছে।