Singur Land Controversy: কৃষকদের পক্ষে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও, শুভেন্দুকে মনে করালেন বেচারাম
Singur Land Controversy: সোমবার সিঙ্গুরে ছিল শুভেন্দু অধিকারীর সভা। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, "সিঙ্গুর আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না। বুদ্ধবাবু আর গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীর উদারতার সুযোগ নিয়ে টাটা-দের ভাগিয়েছেন মমতা।"

সিঙ্গুর: ২০০৮ সালে জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিরোনামে এসেছিল সিঙ্গুর। দিনের পর দিন পথে বসে আন্দোলন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর পর ন্যানো কারখানা বাংলা থেকে গুজরাটে নিয়ে যায় টাটা গোষ্ঠী। সেই ঘটনার পর ১৫ বছর কেটে গিয়েছে। আজও ভোট এলেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে সেই সিঙ্গুর। যে আন্দোলন কার্যত বাম সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল বলে মনে করা হয়, সেই আন্দোলন নিয়ে আজ ওঠে প্রশ্ন। কতটা ঠিক হয়েছিল সেই আন্দোলন? আদতে কি উপকৃত হয়েছে সিঙ্গুরবাসী? লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও একবার সেই প্রশ্ন সামনে এনেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তাঁর দাবি মানছে না শাসক দল।
সোমবার সিঙ্গুরে ছিল শুভেন্দু অধিকারীর সভা। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না। বুদ্ধবাবু আর গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীর উদারতার সুযোগ নিয়ে টাটা-দের ভাগিয়েছেন মমতা। তিনি দাবি করেছেন, সেই সময় বিরোধিতা করার সুযোগ পাননি তিনি, তবে ‘চকোলেট, স্যান্ডউইচ খাওয়া’ আন্দোলনে যেতেনও না খুব একটা। শুভেন্দু জানান, আন্দোলনে তাঁকে প্রতিদিন ডাকা হত আর তিনি ডেকরেটারের টাকা মিটিয়ে চলে যেতেন।
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে জবাব দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “এই আন্দোলন যদি সঠিক না হত, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট কৃষকদের পক্ষে রায় দিত না।” শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “তৃণমূলে থাকতে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার ব্ল্যাকমেল করেছেন। তৃণমূলে থাকাকালীন রসেবসে ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।” বেচারামের দাবি, নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের খুশি করতেই এই ধরনের চটকদারি মন্তব্য করছেন শুভেন্দু।
লোকসভা ভোট আসন্ন, তাই আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে সিঙ্গুর। ভোটের ময়দানে সিঙ্গুরকে হাতিয়ার করছে শাসক বিরোধী সব পক্ষই। বুধবার ধর্মতলায় অমিত শাহের সভাতেও সিঙ্গুরের বাসিন্দারা থাকতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
