
রিষড়া: ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি। যুবভারতীকাণ্ডের পর থেকে রিষড়ার এই বাড়ি ঘিরে মানুষের কৌতূহল বেড়েছে। যুবভারতীকাণ্ডে ধৃত শতদ্রু দত্তর সেই বাড়িতেই শুক্রবার সকালে পৌঁছে গেল বিধাননগর পুলিশ। বাড়িতে তল্লাশি চালাল। তবে কেন তল্লাশি, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। সেদিন মাঠে তাণ্ডবের ঘটনার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আয়োজক সংস্থা হিসেবে বিশৃঙ্খলার দায় তাঁর বলে অভিযোগ। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন শতদ্রু। তিনি যখন পুলিশ হেফাজতে, তখন এদিন সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশ।
এদিন সকালে দক্ষিণ বিধাননগর থানার পুলিশের একটি দল রিষড়ায় পৌঁছয়। মহিলা পুলিশকর্মী-সহ পাঁচজন আধিকারিক ওই দলে ছিলেন। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় আসেন। সেখান থেকে রিষড়া থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্কে শতদ্রুর বাড়িতে যান। শতদ্রুর বাড়িতে একমাত্র পরিচারিকা ছাড়া কেউ নেই। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তার পাশাপাশি ঝাঁ চকচকে বাড়িটির প্রতি ঘরে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তিনতলা এই বাড়িতে ফুটবল মাঠ, সুইমিং পুল আছে। সেগুলি তদন্তকারীরা ঘুরে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তল্লাশির পর কোনও কিছু সিজ করেননি বলে সূত্রের খবর। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “তদন্তাধীন বিষয়। তাই এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।”
এদিকে মেসির অনুষ্ঠানে ‘কালো টাকা’ ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান। যুবভারতীকাণ্ডে পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ইসিআইআর দায়ের করে কালো টাকার উৎস সন্ধানে তদন্ত করবে বলে সূত্রের খবর।