
তমলুক: এক সময় বিজেপি করতেন। পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতি ছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। এটাই হল কাল। চরিত্রহীন বলে আখ্যা দেওয়া হয় ওই মহিলাকে বলে অভিযোগ। আর এবার কুশপুতুল দাহ করল বিজেপি। শুধু তাই নয়, জুতো মারা হল প্রাক্তন নেত্রীর ছবিতে। পাল্টা বিজেপি নেতার কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন মহিলা সভানেত্রীর স্বামী।
গত বৃহস্পতিবার শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা আদক মাইতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে চরিত্রহীন আখ্যা দেওয়া হয় বিজেপির তরফ থেকে বলে অভিযোগ। এরপর শনিবার সঙ্গীতা ও তাঁর স্বামী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে তাঁরা তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কুরুচিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে। তিনি যে দাবি করেছেন সেই দাবি তাঁকে প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে আইনি নোটিশ পাঠানোর কথাও জানানো হয়। মহিলাকে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে মেচেদায় পাল্টা প্রতিবাদ মিছিল করে শাসকদল।
তবে বিজেপিও থেমে থাকেনি। যেহেতু সঙ্গীতা বিজেপি ছেড়েছেন, পাল্টা বিজেপির তরফেও শনিবার সন্ধ্যায় মিছিল বের করা হয়। প্লাকার্ড ঝোলানো হয়, যাতে কুরুচিকর ভাষা লেখা ছিল। এরপর ওই মহিলা নেত্রীর ছবিতে জুতো মারতে মারতে মিছিল চলে। জ্বালানো হয় কুশপুতুল। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে।
তৃণমূল নেতা অসীত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সঙ্গীতা বিজেপিতে যতদিন ছিলেন ভাল ছিলেন। যখন তৃণমূলে যোগ দিলেন খারাপ হয়ে গেলেন। একজন মহিলার সঙ্গে বিজেপি যা করছে ঈশ্বর তাঁদের ক্ষমা করুক।”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুচ্ছাইত বলেন, “দল থেকে উনি দূরত্ব তৈরি করেন। মেয়েটি তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গে দরজা বন্ধ করে সময় কাটাতেন। এই মেয়েটি আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।” সঙ্গীতা আদক বলেন, “উনি যে ভাষায় কথা বলেছেন সেটাতে ওঁর চরিত্র প্রকাশ পায়। আমি আর কিছু বলব না।”