
খানাকুল: পঞ্চায়েত নির্বাচনের অশান্তির রেশ এখনও বর্তমান। দিন কয়েক আগেই রাজনৈতিক অশান্তির জেরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির খানাকুল। পঞ্চায়েতের অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার দু দিন পর সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সারা রাত বাড়িতেই থাকতে হয়েছে বিজেপি কর্মীকে! পুলিশ আর তৃণমূলের ভয়ে হাসপাতালেও যেতে পারেননি বলে অভিযোগ আহত বিজেপি কর্মীর। পরের দিন ভোরে অন্য রাস্তা দিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গুলি করল কে? আহত বিজেপি কর্মীর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই।
হুগলির খানাকুলে অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল গত মঙ্গলবার। বোর্ড গঠন ঘিরে অশান্তি হয় সে দিন। শাসক-বিরোধী দু পক্ষই হামলায় দায় চাপায় অপর পক্ষের ওপর। ঘটনার দু দিন পর কালীপদ দোলুই নামে এক বিজেপি কর্মী দাবি করেছেন, ঘটনার দিন তাঁর হাতে গুলি লেগেছিল। তিনি খানাকুলের চব্বিশপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিজেপির দাবি, রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কর্মীকে তুলে নিয়ে যান বিজেপির কর্মীরাই। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় বাড়িতেই। কালীপদ দোলুইয়ের দাবি, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে বিদ্ধ এই বিজেপির কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। কার্যত লুকিয়ে ছিলেন তিনি।
বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বাঘা অপর একজনকে সিভিক পুলিশের পোশাক পরিয়ে গুলি করিয়েছে। তিনি তখন মাঠে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছেন কালীপদ। তিনি বলেন, আমি ভয়ে হাসপাতালে যেতে পারিনি। পরের দিন কাদা পেরিয়ে কোনও রকমে হাসপাতালে এসেছি।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির সদস্যদের ওপরেই অত্যাচার করা হচ্ছে অথচ তাঁদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিজেপি নেতা সুমন তিওয়ারি বলেন, “এসব আর চলবে না। লোকসভা নির্বাচনেই ওরা সেটা টের পেয়ে যাবে।” যদিও তৃণমূলের দাবি, এসব অভিযোগ মিথ্যা, সবটাই সাজিয়ে বলা হচ্ছে। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “সব মিথ্যা। অভিনয় করে ঘটনা সাজিয়ে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেদিন কী হয়েছিল, সেটা কারও অজানা নেই। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।”