
রিষড়া: পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। পাক হেফাজতেই আছেন পূর্ণম কুমার সাউ। বিএসএফ জওয়ানের চোখ বাঁধা অবস্থার ছবি সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। এর থেকে বেশি আর কিছুই জানা যাচ্ছে না। ছোট্ট আরবের কপালেও তাই চিন্তার ভাঁজ। পাকিস্তান কবে ফেরাবে তার বাবাকে?
গত বৃহস্পতিবার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউকে আটক করে পাকিস্তান। সেই ঘটনার পর দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। তবে কোনও খোঁজ আসেনি। পূর্ণমের স্ত্রী আজ, সোমবার রওনা হয়েছেন পাঠানকোটের উদ্দেশে। তিনি চান, কোনও একটা খবর অন্তত আসুক তাঁর কাছে। পূর্ণম কী খাচ্ছেন, কোথায় থাকছেন, এটুকু অন্তত জানতে চান তিনি।
এদিন সকালে রিষড়ার বাড়ির সামনে ছোট্ট আরবকে প্রশ্ন করতেই সে বলে, পাকিস্তান আমার বাবাকে ছেড়ে দিক। আর কিছু চাই না। বাবাকে যে অবস্থায় বাবা গিয়েছে, সেই অবস্থাতেই ফিরে আসুক। বাবাকে খুব ভালোবাসি।
কর্মসূত্রে দূরে থাকে বাবা। তবে ফিরলেই ছেলের জন্য খেলনা ও নানা পছন্দের জিনিস নিয়ে আসতেন পূর্ণম। সে কথাই এদিন শোনা গেল ছেলের মুখে। আরবের আর্জি, ‘সব ছিনিয়ে নিক, কিন্তু বাবাকে না।’
মায়ের সঙ্গে পাঠানকোট যাওয়ার জন্য জামাপ্যান্ট পরে সকাল থেকেই তৈরি ছিল আরব। জিজ্ঞাসা করতেই বলল, “বাবাকে আনতে যাচ্ছি।” খুব বেশি কিছু না জানলেও, গত কয়েকদিন ধরে বাড়ির অবস্থা, মা-ঠাকুমা-দাদুদের দেখে ছোট্ট আরব উপলব্ধি করেছে যে কিছু একটা খারাপ ঘটেছে।” মা’কে জিজ্ঞাসা করেই জানতে পারে, বাবাকে পাকিস্তানে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
কুম্ভ মেলার ডিউটি করে শেষবার যখন ওই জওয়ান বাড়ি ফিরেছিলেন, তখন ছেলের জন্য পছন্দের খেলনা নিয়ে এসেছিলেন। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আরব গত কয়েকদিন স্কুলেও যায়নি। সোমবার সকালে পূর্ণমের স্ত্রী রজনী, ছেলে আরব ও তিন আত্মীয় পাঠানকোটের উদ্দেশে রওনা হন। মা দেবন্তী দেবী দু চোখে জল নিয়ে বলেন, “বউমা যাচ্ছে। যেন ভাল খবর নিয়ে আসে।”